দ𝓡াম না মেলায় সমস্যায় পড়েছেন আনাজ চাষিরা। বাজারে নিয়ে গেল আনাজের দাম তো মিলছেই না, তারওপর আনাজ রাখার কোনও ব্যবস্থা নেই। এই নিয়ে বেজায় ক্ষুব্ধ কোচবিহারের দিনহাটা মহকুমার ভেটাগুড়ির আনাজ চাষিরা। দাম না মেলায় বস্তা বস্তা আনাজ ফেলে দিন চলে যেতে হচ্ছে চাষিদের। দিন কয়েক আগেই চাষিরা বিশেষ টমেটো, ঢেঁড়স প্রভৃতি বাজারে ফেলে দিয়ে চলে গিয়েছিলেন। গতকাল ফের বাজারে আনাজ ফেলে যেতে দেখা গেল চাষিদের। এই অবস্থায় দ্রুত সেখানে হিমঘর চালু করার দাবি তুলেছেন কৃষকরা।
জানা গিয়েছে, দি🍷নহাটায় একটি বহুমুখী হিমঘরꦚ রয়েছে। তবে সেখানে আনাজ রাখার সেরকম কোনও ব্যবস্থা নেই। চাষিদের বক্তব্য, এখন আনাজের দাম নেই। তাই হিমঘর থাকলে সেক্ষেত্রে আনাজ রেখে পরে দাম বাড়লে সেগুলি বিক্রি করা যেত। আবার আনাজ বাইরে নিয়ে যাওয়ার সেরকম ব্যবস্থা নেই যার ফলে তাদের সমস্যায় পড়তে হচ্ছে চাষিদের। আনাজ বিক্রি না হওয়ায় বাধ্য হয়ে তারা সেগুলি ফেলে༒ দিয়ে চলে যাচ্ছেন। তবে সে কথা স্বীকার করেছেন কৃষি দফতরের এক আধিকারিক। তাঁর বক্তব্য, অন্য বাজারে নিয়ে যাওয়ার জন্য যথাযথ বিপণন পরিকাঠামো নেই। যার ফলে কিছু কিছু ক্ষেত্রে সমস্যা হচ্ছে। আবার আনাজ ফেলে দেওয়ার কথা স্বীকার করেনি খাদ্য দফতর।
দিনহাটায় কৃষি মেলায় সরকারি উদ্যোগে সেখানে একটি হিমগড় তৈরি করা হয়েছিল। তবে সেই হিমঘর এখনও চালু হয়নি। এই অবস্থায় সেই হিমঘরটি দ্রুত চালু করার দাবি জানিয়েছেন চাষিরা। তাদের বক্তব্য, দিনহাটায় আনাজ সংরক্ষণের কোনও ব্যবস্থা নেই। বেশি দামে সার, বীজ কিনে চাষ করলেও বাজারে তার দাম নেই। এমনকী সেগুলি বাজারে নিয়ে আসার দরুন ভ্যান ভাড়াও উঠছে না। ফলে আꦛনাজ সংরক্ষণ করে রাখলে সেগুলি পরে বেশি দামে বিক্রি করা যেত।।এই অবস্থায় সেখানে দ্রুত হিমঘর চালুর দাবি জানিয়েছেন কৃষকরা। কৃষকদের এক সংগঠনের বক্তব্য, দিনহাটায় সরকার বহুমুখী হিমঘর গড়ে ত🐲োলার পরিকল্পনা নিয়েছে সেই হিমঘর গড়ে উঠলে সমস্যার অনেকটাই সমাধান হবে। সে ক্ষেত্রে পিপিপি মডেলে বহুমুখী হিমঘর হলে কৃষক এবং ব্যবসায়ী দুজনে লাভবান হবেন বলে মনে করছেন অনেকে।