নবান্ন থেকে কিছুদিন আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছিলেন, হক🍒ার যাঁরা বাড়তি জায়গা দখল করে ব্যবসা করছেন সেগুলি সরিয়ে ফেলতে হবে। ফুটপাত খালি করতে হবে। সরকারি জমি দখল করে রাখা যাবে না। অবিলম্বে সরকারি জমি দখলমুক্ত করতে হবে। আর ম🌸ুখ্যমন্ত্রীর এই নির্দেশ মেনেই দখল হওয়া জমি ফেরত চেয়ে বীরভূমের জেলাশাসককে চিঠি দিলেন বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। এই চিঠির সূত্রে জানা যাচ্ছে, বিশ্বভারতী ও রাজ্য সরকারের জায়গা দখল করে শান্তিনিকেতনে গড়ে উঠেছে কবিগুরু মার্কেট। এটা একটি বাজার।
এমন অভিযোগ ওঠার পর থেকেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে। এই বাজারের ফলে ‘ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ’ তকমা পাওয়া শান্তিনিকেতনের পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। প্রায় দুই দশক ধরে জবরদখল হয়ে থাকা জমি এবার উদ্ধার করতে তৎপর হয়েছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশকে কার্যকরী করতে রাজ্য প্রশাসনের কাছে জমি উদ্ধারের আবেদন করেছে বিশ্বভারতী। জেলাশাসক–সহ বোꦬলপুর পুরসভা এবং মহকুমাশাসককেও চিঠি দেওয়া হয়েছে। বিশ্বভারতীর অভিযোগ, ওই জমি উদ্ধার করার জন্য একাধিকবার চেষ্টা করেছে বিশ্বভারতী। কিন্তু বাস্তবে তা সম্ভব হয়নি।
আরও পড়ুন: একুশে জুলাইয়ে মেট্রোর যাত্রী সংখ্যা প্রকাশ্যে এল, পাতালপথের♏ ভিড়ে অবাকꦿ কর্তৃপক্ষ
শান্তিনিকেতনে বিশ্বভারতীর সমবায় ব্যাঙ্কের সামনে ‘কবিগুরু মার্কেট’ অবস্থিত। এই নিয়ে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবি, এই জমি বিশ্বভারতী ও রাজ্য সরকারের। আর সে জায়গা দখল করে ৫০টি দোকানঘর গড়ে উঠেছে। ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে রাজ্যজুড়ে সরকারি জমি জবরদখল উচ্ছেদ অভিযান চলছে। তাই এই জমি ফেরত পেতে বীরভূমের জেলাশাসক বিধান রা🧔য়কে চিঠি দেন বিশ্বভারতীর ভারপ্রাপ্ত কর্মসচিব অশোক মাহাতো। ইউনেস্কোর কাছ থেকে ‘ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ’ তকমা পেয়েছে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শান্তিনিকেতন। সেখানে জবরদখল করে দোকান গড়ে উঠেছে। তাই এই জায়গা খালি করার আবেদন করা হয়েছে।
এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই রাজ্য সরকারও উদ্যোগ নিতে শুরু করেছে। রাজ্য সরকার যদি এখান থেকে দোকানগুলি খালি করে দেয় তাহলে উপকার হবে বিশ্বভারতীর। আর পিয়ার্সন পল্লি–সহ বেশ কিছু এলাকায় বিশ্বভারতী ও রাজ্য সরকারের জায়গা দখল করে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ। এই জবরদখল উচ্ছেদের আর্জি জানিয়েছেন বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। এই বিষয়ে বিশ্বভারতীর ভারপ্রাপ্ত জনসংযোগ আধিকারিক অত🃏িগ ঘোষ বলেন, ‘রাজ্যের🙈 মুখ্যমন্ত্রী জবরদখল উচ্ছেদ করার নির্দেশ দিয়েছেন। তাই বিশ্বভারতী এবার জেলা প্রশাসনকে জবরদখল উচ্ছেদের আর্জি জানিয়েছে।’