বৃহস্পতিবার মাঝরাতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে ছাই হয়ে যায় হাওড়ার মঙ্গলাহাট। আর শুক্রবার একুশের জুলাইয়ের সমাবেশ সেরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অকুস্থলে গিয়ে পৌঁছয়। সেখানে 🌳নিজে ঘুরে সরেজমিনে খতিয়ে দেখেন গোটা এলাকা। আর কথা বলেন ব্যবসায়ীদের সঙ্গেও। বিধ্বংসী আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে বহু কাপড়ের দোকান। এই ঘট༒না চাক্ষুষ করার পর ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিকে মঙ্গলাহাটে আ꧒গুনের লেলিহান শিখার সাক্ষী থাকেন স্থানীয় বাসিন্দারা। দ্রুত আগুন ᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚ𒀱ᩚᩚᩚবাড়তে থাকায় দমকলে খবর দেওয়া হয়। দমকলের ১৮টি ইঞ্জিন নিরলস প্রচেষ্টায় এই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে ততক্ষণে ওই আগুনে গোটা এলাকা এবং পুড়ে ছাই হয়ে যায় বাজারের প্রায় সব দোকানপাঠ। হাহাকার শুরু করে দেন ব্যবসায়ীরা। খেলনা থেকে জামাকাপড়ের দোকান ভস্মীভূত হয়ে যায়। এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় অন্তর্ঘাতের অভিযোগ তোলেন সেখানকার ব্যবসায়ীরা। তাঁদের দাবি, পরিকল্পনা করেই অগ্নিকাণ্ড ঘটানো হয়েছে। যাতে মঙ্গলাহাট থেকে ব্যবসায়ীদের উচ্ছেদ করা যায় বলে তাঁদের অভিযোগ।
ঠিক কী বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী? অন্যদিকে শুক্রবার দুপুরে ধর্মতলা থেকে সোজা হাওড়ার মঙ্গলাহাটে পৌঁছে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তখন ব্🍰যবসায়ীরা তাঁর কানে অন্তর্ঘাতের কথা তুলে দেন। মুখ্যমন্ত্রীকে কাছে পেয়ে নানা অভিযোগ জ𝓀ানান তাঁরা। ব্যবসায়ীদের সব কথা মন দিয়ে শোনেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপরই তিনি বলেন, ‘সিআইডি এই ঘটনার তদন্ত করবে। আর হাওড়া পুলিশ কমিশনারেট এবং সিআইডি মিলে তদন্ত করবে।’ তবে আগেই রাজ্যের সমবায়মন্ত্রী অরূপ রায় বলেছিলেন, ‘কোনও অভিযোগ থাকলে পুলিশ তদন্ত করবে। দোষীদের গ্রেফতার করা হবে।’
আরও পড়ুন: ‘নতুন ඣইন্ডিয়ার জন্মꦍ হবে ২০২৪ সালে’, শহিদ দিবসের মঞ্চ থেকে দাবি করলেন মমতা
আর কী জানা যাচ্ছে? সব শোনার পর মুখ্যমন্ত্রী একটি উদ্যোগ নেন। নতুন করে ব্যবসা যাতে শুরু করতে পারেন ব্যবসায়ীরা তার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর কথায়, ‘প্রথমেই দেখতে হবে এই জমিটা কার। আমি হাওড়ার জেলাশাসককে বলেছি বিষয়টাꦏ দেখার জন্য। জেলাশাসক, হাওড়া পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে মন্ত্রী অরূপ রায়, দমকল এবং বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের একজন করে থাকবেন এই টিমে। তাঁরা পুরো বিষয়টা খতিয়ে দেখবে। কেন এখানে বারবার আগুন লাগছে? নাকি আগুন লাগিয়ে দেওয়া হচ্ছে দেখতে হবে। জমিটা আমাদের এক্তিয়ারে থাকলে𝔍 এখানে একটা বিল্ডিং বানিয়ে দিতে পারি। আর ক্ষতিগ্রস্তদের সরকার ৫ লক্ষ টাকা করে ঋণ দেবে।’