বুধবার সন্দেশখালিতে রাত্রিবাসের পর বৃহস্পতি ভোরেই কলকাতা ফিরলেন পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের ডিরেক্টর জেনারেল রাজীব কুমার। আজ ফেরার পথে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রাজীব কুমার দাবি করেন, যারা যারা নিজেদের হাতে আইন তুলে নিয়েছিলেন, তাদের সবার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করবে পুলিশ। ডিজিপি রাজীব কুমার আজ বলেন, 'যারা যারা নিজেদের হাতে আইন তুলে নিয়েছে, তাদের সবার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হবে। এখানকার মানুষের যা যা অভিযোগ আছে... জমি বেদখল সহ যা যা অভিযোগ আছে, সব খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অন্যান্য যা যা অভিযোগ আছে, তাও শোনা হচ্ছে। আমি সংবাদমাধ্যমের মাধ্যমে সন্দেশখালির বাসিন্দাদের উদ্দেশে বার্তা দিতে চাই, তারা যেন পুলিশ ও প্রশাসনের সঙ্গে সহযোগিতা করেন। যার যার যা যা অভিযোগ সব শোনা হবে। যে যে আইন ভেঙেছে, সবার বিরুদ্ধে পুলিশ পদক্ষেপ করবে।' (আরও পড়ুন: সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের হাতিয়ার '৩৯২.৮৩', ডিএ-র দাবিতে আজ কর্মবিরতিতে সর🅘কারি কর্মীরা)
আরও পড়ুন: BJP শাসিত রাজ্যে কয়েক কোটির 'দুর্নীতি', CAG রিপোඣর্টকে হাতিয়ার করে 🙈তোপ তৃণমূলের
এর আগে গতকাল সন্ধ্যা ছ'টা নাগাদ লঞ্চে চেপে কোনও এক অজানা গন্তব্যের উদ্দেশে রওনা দিয়েছিলেন রাজীব কুমার। সেই সময় তাঁর সঙ্গে ছিলে꧟ন ♎দক্ষিণবঙ্গের অতিরিক্ত ডিরেক্টর জেনারেল অফ পুলিশ সুপ্রতিম সরকার এবং পুলিশের একাধিক শীর্ষকর্তা। দু'ঘণ্টা পর ফের সন্দেশখালিতে ফিরে আসেন রাজীব কুমার। এই আবহে পুলিশি কার্যকলাপ ঘিরে জল্পনা তৈরি হয়েছিল। এরপর রাতে সন্দেশখালিতেই ছিলেন ডিজিপি। এর আগে জাতীয় মহিলা কমিশনের প্রধান অভিযোগ করেছিলেন, ডিজিপির সঙ্গে তাঁর বৈঠকের সময় নাকি রাজীব কুমার বলেছিলেন, শেখ শাহজাহানকে তিনি গ্রেফতার করতে পারবেন না। অবশ্য, বুধবার তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছিলেন, শাহজাহানকে গ্রেফতার করার ক্ষমতা আছে রাজ্য পুলিশের।
আরও পড়ুন: '১০ বছর মিথ্যা বলে এখন খুন 🅰করছে BJP', আন্দোলনকারী কৃষকের মৃত্যুতে তোপ মমতার
উল্লেখ্য, বিগত ৫ জানুয়ারি থেকে শাহজাহানের খোঁজ চলছে। তবে তিনি আজও অধরা। এরই মাঝে যৌন হেনস্থার অভিযোগ উঠেছে শাহজাহান এবং তার সহযোগীদেরꦿ বিরুদ্ধে। এই আবহে এখন রাজ্য রাজনীতির সবচেয়ে আলোচ্য বিষয় সন্দেশখালি। প্রসঙ্গত, গত ৫ জানুয়ারি রেশন দুর্নীতির তদন্তে শাহজাহানের বাড়িতে গিয়েছিল ইডি। সেখানে আক্রান্ত হয়েছিলেন ইডি আধিকারিকরা। কয়েকদিন পরই সন্দেশখালিতে শাহজাহান, তাঁর ঘনিষ্ঠ শিবু, উত্তমদের বিরুদ্ধে গণঅভ্যুত্থান হয়। সেই শাহজাহান বাহিনীর বিরুদ্ধে সন্দেশখালিতে সন্ত্রাসের রাজ চালানোর অভিযোগ ওঠে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, মারধর, হুমকি, অত্যাচার, ধর্ষণ, শ🌊্লীলতাহানির ঘটনায় সরাসরি যুক্ত ছিল শাহজাহান বাহিনী। পরবর্তীতে উত্তম এবং শিবুকে গ্রেফতার করা হয়। তবে শাহজাহান এখনও অধরা।