ধান ভাঙার খরচ বাড়ানোর জন্য দীর্ঘদিন ধরে রাজ্য সরকারের কাছে❀ দাবি জানিয়ে আসছে রাইস মিলগুলি। সেই দাবি মেনেই এবার ধান ভাঙার জন্য বরাদ্দ বৃদ্ধির কথা বিবেচনা করছে রাজ্য সরকার। শনিবার চালকল মালিকদের সঙ্গে রাজ্য সরকারের আধিকারিকদের বৈঠক হয়েছে। সেই ব﷽ৈঠকে ধান ভাঙার জন্য ১০ টাকা করে বাড়ানোর বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
আরও পড়ুন: চাষিদের থেকে কৃষকবন্ধু হাতিয়ে ধান বি꧅ক্রি করছে ফড়েরা, অভিযোগ তুলল তৃণমূল
ধান ভাঙার টাকা বৃদ্ধির জন্য চালকল মালিকদের দাবি দীর্ঘদিনের। এর আগে অক্টোবরে রাজ্য সরকারের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেছিল চালকল মালিকদের সংগঠন বেঙ্গল রাইস মিল অ্যাসোসিয▨়েশন! সেই সময় তারা হুঁশিয়ারি দিয়ে জানিয়েছিল, ধান ভাঙার সরকারি বরাদ্দ বৃদ্ধি না হলে সরকারের সঙ্গে চুক্তি করবেন না। এরফলে রেশন ব্যবস্থা বির্পযস্ত হওয়ার সম্ভবনা ছিল। তাছাড়া, চাষিরা♐ সহায়ক মূল্যে ধান বিক্রি করতে পারত না। আর এরকম হলে ফড়েদের দাপট বৃদ্ধির আশঙ্কাও ছিল। সেই কথা ভেবেই এ বিষয়টি বিবেচনা করছে রাজ্য সরকার।
প্রসঙ্গত, ধান ভাঙানোর জন্য কুইন্টাল প♔্রতি চালকল মালিকদের দেওয়া হয় ৩০ টাকা করে। যার মধ্যে কেন্দ্র সরকার দেয় ২০ টাকা রাজ্য সরকার দেয় ১০ টাকা করে। তবে চালকল মালিকদের বক্তব্য, সরকারের তরফে ধান ভাঙার জন্য তাদের যে টাকা দেওয়া হয় তা যথেষ্ঠ নয়। কারণ প্রতি কুইন্টাল ধান ভাঙাতে তাদের খরচ হয় ১০০ টাকার ওপরে। ফলে এই টাকায় কোনওভাবেই তাদের পক্ষে লাভজনক নয়। তাদের দাবি ছিল, রাজ্য সরকার ১০ টাকার বদলে ৫০ টাকা করে দিক। শুধু তাই নয়, মালিকরা আরও জানিয়েছিল, সরকারি বরাদ্দ বৃদ্ধি না হলে ধান কেনা ও ভাঙানোর সঙ্গে তারা যুক্ত থাকবেন না। তাদের বক্তব্য, তারা সরকারের ধান ভাঙিয়ে চাল করে তা ১০ কোটি মানুষের রেশনের ব্যবস্থা করে দিচ্ছেন। তাই ধান ভাঙার বরাদ্দ বাড়ানো না হলে তারা সমস্যায় পড়বেন। তারপরেই রাজ্য সরকারের এমন অবস্থান।
যদিও এ বিষয়ে সরকারের এক আধিকারিক জানিয়েছেন যেহেতু এটা আর্থিক বিষয় তাই সেক্ষেত্রে বিষয়টি চূড়ান্ত করতে গেলে মন্ত্রিসভার বৈঠকে পাশ হতে হবে। তারপরে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে। এরকম হলে চাল কল মালিকরা প্রতি কুইন্টালে ৪০ টাকা করে পাবেন। এর পাশাপাশি চালকল শ্রমিকদের মজুরি দু’টাকা করে বাড়ানোর বিষয়েও বিবেচনা করা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। প্রসঙ্গত, খারিফ মরসুমে সহায়ক মূল্যে ১ নভেম্বর থ💛েকেই ধান কেনা শুরু করেছে রাজ্য সরকার। এবার রাজ্যজুড়ে ধান কেনার লক্ষ্যমাত্রা হল ৭০ লক্ষ টন।