আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে। আদৌ এই প্রতিযোগিতা পাকিস্তানে হবে কি না, তা নিয়ে স্পষ্ট কোনও জবাব মেলেনি। আর এরই মাঝে ভারতকে চটাতে আরও এক পদক্ষেপ পিসিবির। পা🐻ক ক্রিকেট বোর্ড ঘোষণা করেছে, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ট্যুর হবে পাক অধিকৃত কাশ্মীরেও। পিসিবির এহেন ঘোষণায় দিল্লি যে অসন্তুষ্ট হবে, তা বলাই বাহুল্য। এর আগে সরকারের পরামর্শ অনুযায়ী বিসিসিআই জানিয়ে দিয়েছে, পাকিস্তানে গিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলবে না ভারত। এরই মাঝে ভারতকে আরও চটিয়ে পিসিবির এই ঘোষণায় অনেকেরই চোখ কপালে উঠেছে।
রিপোর্ট অনুযায়ী, পিসিবির তরফ থেকে ঘোষণা করা হয়েছে, স্কার্দু, হুনজা এবং মুজফ্ফরাবাদ হয়ে এই ট্রফি ট্যুর যাবে। উল্লেখ্য, এই তিনটি জায়গাই পাক দখলে থাকা ভারতীয় ভূখণ্ড। এই আবহে ভারত-পাকিস্তান সম্পর্কে আরও তিক্ততা বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, ইতিমধ্যেই দুবাই থেকে চ্যাম্পিন💜্স ট্রফি পাকিস্তানে পৌঁছে গিয়েছে। সেই ট্রফি এবার ট্যুরে বের হবে। সেই ট্যুরে বিদেশি অতিথিরাও থাকবেন। উল্লেখ্য, পাক অধিকৃত কাশ্মীর যে তাদেরই, এটা প্রমাণ কর বারবার সেখানে বিদেশি অতিথিদের নিয়ে যায় ইসলামাবাদ। এর আগে মার্কিন সেনেটরকেও সেখানে নিয়ে গিয়েছিল পাকিস্তান। যার কড়া ভাষায় প্রতিবাদ জানিয়েছিল ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রক। আর এবার আইসিসি ট্রফি পাক অধিকৃত কাশ্মীর দিয়ে ঘোরানোর পরিকল্পনা করেছে পিসিবি।
এদিকে সাম্প্রতিক বেশ কিছু রিপোর্টেই দাবি করা হচ্ছে, হাইব্রিড মডেলে পাকিস্তানেই অনুষ্ঠিত হতে পারে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ২০২৫। তাতে ভারতের ম্যাচগুলি অনুষ্ঠিত হবে সংযুক্ত আরব আমিরাতের মাঠে। এরই সঙ্গে সেমিফাইনাল এবং ফাইনালও হবে না পাকিস্তানে। 👍তবে এই হাইব্রিড মডেলকে নাকি 'না' করে দিয়েছে পিসিবি। উল্লেখ্য, বর্তমানে পিসিবি চেয়ারম্যান আবার মোহসিন নকভি। তিনি পাকিস্তানের মন্ত্রীও বটে। এই আবহে ক্রিকেটকে হাতিয়ার করে ভারতকে বাগে আনতে চাইছে পাকিস্তান। তবে ভারত স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, পাকিস্তানে খেলতে তারা যাবে না। অপরদিকে ভারতকে ছাড়া আইসিসি টুর্নামেন্টের কথাও ভাবা যায় না। এই আবহে হাইব্রিড মডেলে পিসিবি সহমত না হলে প্রতিযোগিতা দক্ষিণ আফ্রিকায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হতে পারে বলেও দাবি করা হচ্ছিল। তবে সেই ক্ষেত্রে আবার পাকিস্তান প্রতিযোগিতা থেকে সরে দাঁড়াতে পারে বলে শোনা যাচ্ছে। এই সব জটিলতার মাঝেই পাকিস্তান নিজেদের পুরনো 'কূট-চাল' দিয়ে ভারতকে চটাতে চাইছে।