উচ্চ মাধ্যমিকের ফলাফলের ‘বিভ্রাট’ নিয়ে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে চলছে বিক্ষোভ। বিশেষত প্রশ্ন উঠছে শিক্ষা সংসদের ভূমিকা নিয়ে। এবার সংসদের বিরুদ্ধেই উচ্চ মাধ্যমিকের ফল 'বিভ্রাটের' দায় ঝেড়ে ফেলার অভিযোগ উঠল। প্রধান শিক্ষক-শিক্ষিকাদের একাংশের অভিযোগ, স্কুল কর্তৃপক্ষের উপর চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে সংসღদ। এসআই অফিসে ডেকে তাঁদের মুচলেকাও লিখিয়ে নেওয়া হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার উচ্চ মাধ্যমিকের ফল প্রকাশিত হয়েছে। তারপর থেকে অনুত্তীর্ণ পড়ুয়ারা কোথাও ভাঙুচর চালিয়েছেন, কোথাও বিক্ষোভ দেখিয়েছেন, কোথাও ঘেরাও করেছেন। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে পরীক্ষার ফল নিয়ে এত বিক্ষোভ হচ্ছে কেন, তা নিয়ে সংসদের সভাপতি মহ🐈ুয়া দাসকে নবান্নে তলব করা হয়েছিল। গত শনিবারের সেই বৈঠকে ছিলেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী এবং শিক্ষাসচিব মণীশ জৈন। যে পড়ুয়ারা পাশ করতে পারেননি, তাঁদের বিষয়টি সহানুভূতির সঙ্গে বিবেচনা করার জন্য সংসদ সভাপতিকে আর্জি জানান তা🌊ঁরা। নবান্ন সূত্রে খবর, যেভাবে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে, তা প্রশমনের জন্য সংসদকেই ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। তারপর ভুলভ্রান্তি শুধরে নেওয়ার কথাও বলেছে সংসদ।
তারইমধ্যে প্রধান শিক্ষক-শিক্ষিকাদের একাংশের অভিযোগ, মঙ্গলবার তাঁদের এসআই অফিসে ডেকে পাঠানো হয়েছিল। সেখানে তাঁদের হাতে একটি মু♉চলেকা ধরিয়ে দেওয়া হয়। তাতে উচ্চ মাধ্যমিকের ফলাফলের ‘বিভ্রাটের’ দায় যাবতীয় দায় স্কুলের উপর চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। প্রধান শিক্ষক-শিক্ষিকাদের একাংশের দাবি, মুচলেকায় লেখা ছিল যে স্কুলগুলির তরফেই সংসদকে ত্রুটিপূর্ণ এবং অসম্পূর্ণ নম্বর পাঠানো হয়েছিল। তার জেরেই এত পড়ুয়া পাশ করতে পারে✱ননি। সাতদিনের মধ্যে পরীক্ষার্থীদের নম্বর সংশোধন করে দেওয়া হবে। তাৎপর্যপূর্ণভাবে আনুষ্ঠানিকভাবে ফল প্রকাশের দিন সংসদ সভাপতি দাবি করেছিলেন, একাধিক স্কুল ত্রুটিপূর্ণ এবং অসম্পূর্ণ নম্বর পাঠিয়েছে। তা সংশোধন করেছে সংসদ।
যদিও শিক্ষক মহলের দাবি, মূল্যায়নের নীতি মেনেই সংসদের নম্বর পাঠানো হয়েছে। বাকি কাজটা করেছে সংসদ। স্ক✅ুলের তরফে ভুল হয়নি। কিন্তু এখন বিক্ষোভের মুখে স্কুল কর্তৃপক্ষকে বলির পাঁঠা করতে চাইছে সংসদ।