বে-ল🍸াগাম ভাষণে ফের বিতর্কের মধ্যমণি হলেন বঙ্গ ব💖িজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ। মেয়েদের সম্মান রক্ষার্থে রাজ্যের হিন্দু যুবকদের হাতে অস্ত্র তুলে নেওয়ার পরামর্শ দিলেন তিনি।
বুধব♍ার পশ্চিম মেদিনীপুরের গড়বেতায় হিন্দু জাগরণ মঞ্চের সভায় ভাষণ দিতে গিয়ে দিলীপ বলেন, ‘মা-বোনেদের সম্মান রক্ষার্থে হিন্দু যুবকদের এক হতে হবে। প্রয়োজনে হলে অস্ত্র ধরতে হবে। সংবিধান আমাদের সেই অধিকার দিয়েছে। ধর্ম রক্ষার্থে,সম💟্মান রক্ষার্থে, প্রাণ রক্ষার্থে অস্ত্র ধরাটা আইনের চোখের কোনও অপরাধ নয়। আমরা সেটাই করব।’
এ দিনের ভাষণে যথারীতি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং শাসকদল তৃণমূলের বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ উগরে দেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি। তাঁর দাবি, হিন্দুদের অস্ত্র হাতে তুলে নেওয়ার শক্তি ক্ষয় হয়েছে। এই কারণে ঘর থেকে মেয়েদের টেনে নিয়ে গেলেও তাঁরা আসহায় হয়ে পুলিশের কাছে ছুটছেন। দিলিপ ঘোষ বলেন, ‘চোখের সামনে মা-বোনেদের টেনে নিয়ে যাচ্ছে, ধর্ষণ করছে। আর আমরা মেয়ে মেয়ে করে থানায় যাচ্ছি। আগে ♌প্রতিশোধ নিতে হবে, তারপর থানায় যেতে হবে।’
বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করে এ দিন বিজেপি রাজ্য সভাপতি বলেন, পশ্চিমবঙ্গ মাতৃপূজার দেশ, তাই মহিলাকে মুখ্যমন্ত্রী করেছিলেন মানুষ। কিন্তু কার্যক্ষেত্রে তাতে সুফল মেলেনি বলে দাবি দিলীপের।༺ তাঁর অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রী মহিলাদের চরিত্র খারাপ বলছেন। ইজ্জতের দাম লিখে দিতে ধর্ষিতার ক্ষতিপূরণ দিচ্ছেন। তাঁর প্রশ্ন, ‘মহিলাদের সম্মান বিক্রি করার অধিকার কে দিয়েছে?’
বিজেপি রাজ্য সভাপতির প্ররোচনামূলক ভাষণের জবাবে তৃণমূলের পশ্চিম মে🙈দিনীপুর জেলা সভাপতি অজিত মাইতি বলেন, অবৈধ ভাবে হাতে অস্ত্র তুলে নেওয়ার প্ররোচনা বিজেপি আগেও দিয়েছে। তাঁর দাবি, বেআইনি অস্ত্র হাতে তুললে পুলিশ ব্যবস্থা নেবে।
রাজ্য বিজেপি সভাপতির সমালোচনা করে༒ পালটা সতর্ক করে অজিত বলেন, ‘তৃণমূলও হাতে চুড়ি পরে বসে আছে ভাবলে উনি ভুল করছেন। একটা নয়, হাজারটা দিলীপ ঘোষকে সামলানোর ক্ষমতা আমাদের আছ🍰ে।’