চা বাগান নিয়ে নানা সময় নানা কথা ওঠে। এবার দার্জিলিং সফরে গিয়েও পাহাড়ের নানা দিক নিয়ে খোঁজখবর নিয়েছিলেন বাংলার ღমুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। এদিকে পাহাড়ের চা বাগানের আর্থিক পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে চায় রাজ্য সরকার। তবে এবার শ্রমিক সংগঠনের মধ্যে এনিয়ে নানা মত উঠে আসছে।
প্রসঙ্গত গত ১৬ নভেম্বর শিলিগুড়ির শ্রম ভবনে পাহাড়ের চা বাগানের বোনাস সংক্রান্ত ব্যাপারে ত্রিপাক্ষিক বৈঠক হয়। সেখানে চা বাগানের আর্থিক পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার বিষয়টি সামনে আসে। এদিকে শ্রম দফতর বাগানের পরিস্থিতি কেমন রয়েছে সেব্যাপারে খোঁজখবর রাখে। তবে এবার সরকারের তরফে বাগানের আর্থিক অবস্থা নিয়ℱে খোঁজখবর করা হবে।
দার্জিলিং মানেই দার্জিলিং টি। প্রচুর শ্রমিক এই চায়ের উৎপাদনের সঙ্গে যুক্ত। কিন্তু তাঁদের অনেকের জীবনে আজও আলো আসে না। নানা সমস্যায় জর্জরিত তাঁদের জীবন। স🔥ময়মতো বোনাস মেলে না। পর্যাপ্ত মজুরি মেলে না।
তবে শ্রমিক নেতাদের একাংশের মতে♊, বোনাসের সঙ্গে বাগানের পরিস্থিতি গুলিয়ে ফেলাটা ঠিক হবে না। ൲কারণ এখন যদি বাগান ধরে ধরে তাদের আর্থিক অবস্থা বিচার বিশ্লেষন করতে হয় তবে অনেকদিন কেটে যাবে। সেকারণে বোনাসের ব্যাপারটি সম্পূর্ণ আলাদাভাবে রাখা দরকার। আর বাগানের আর্থিক অবস্থা খতিয়ে দেখার বিষয়টি আলাদা করা দরকার।
এদিকে পাহাড়ে সব মিলিয়ে ৮৭টি বাগান। তার মধ্য়ে ১০টা বা𒅌গান বন্ধ রয়েছে। কিছু বাগানে শ্রমিক অসন্তোষ সহ নানা কারণে কাজকর্ম ঠিকঠাক করে হয় না। তবে যে বাগানে ম্যানেজমেন্ট ঠিকঠাক সেখানে কাজ ভালোই হয়। তবে দার্জিলিংয়ের আর্থ সামাজিক অবস্থার একটা বড় অংশ এই চা বাগানের উপর নির্ভরশীল। সেক্ষেত্রে বাগান সম্পর্কে পুরো চিত্র যদি সরকারের কাছে থাকে তবে বাগান ও তার শ্রমিকদের জন্য নীতি নির্ধারনের ক্ষেত্রে সরকারের সুবিধা হবে। তবে বাগান নিয়ে সমীক্ষা এই প্রথম এমনটা নয়। এর আগেও বাগান নি🍨য়ে সমীক্ষা হয়েছে। বাগান সম্পর্কে খোঁজখবর নেওয়ার ক্ষেত্রে সরকারি উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন শ্রমিক নেতাদের অনেকেই।
সেকারণে শ্রমিক নেতাদের একাংশের🐲 মতে, বাগান൲ের আর্থিক অবস্থা সম্পর্কে সরকার খোঁজখবর নেবে এটা নিয়ে আপত্তির কিছু নেই। এতে প্রকৃত অবস্থাটা জানা যাবে। এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন অনেকেই। তবে তারই সঙ্গে বোনাসের বিষয়টি একেবারে পৃথকভাবে বিবেচনার কথা বলা হয়েছে শ্রমিক নেতাদের তরফে।