লকডাউনে কাজ হারিয়ে বহু কষ্টে রাজ্যে ফিরে কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে বসে ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডবে ভিটেমাটি হারানোর খবর পেয়ে ভেঙে পড়লেন পশ্📖চিমবঙ্গের নিঃসহায় পরিযায়ী শ্রমিকরা।
মাত্র এক সপ্তাহ আগে তামিলনাডু, কেরালা ও মহারাষ্ট্র থেকে বাংলায় ফিরেছেন বসিরহাটের একশোর বেশি পরিযায়ী শ্রমিক। করোনা সংক্রমন রোধের নিয়ম মেনে বাড়ি ফেরার আগে ১৪ দিনের বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টাইন শিবিরে তাঁদেꦕর ঠাঁই হয়েছে। বৃহস্পতিবার সেখানেই তাঁরা সাইক্লোন আমফানের তাণ্ডবে গ্রামের বাড়ি ধূলিস্যাৎ হওয়ার খবর পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার করঞ্জলি অঞ্চলে মহারাষ্ট্র থেকে ফিরে আসা কয়েক ডজন শ্রমিক 🥀শুক্রবার সকালে জানতে পারেন, ঝড়ের দাপটে গ্রামে তাঁরা আশ্রয় হারিয়েছেন। পুকুর ভেসে গিয়ে নষ্ট হয়েছে বহু টাকার চাষের মাছও। করঞ্জলির বাসিন্দা মহেশ্বর বিশ্বাস জানিয়েছেন, ‘মহারাষ্ট্র থেকে প্রায় নিঃস্ব হয়ে ফিরলাম। এখন শুনলাম, বাড়িটাওﷺ হারিয়েছি।’
দক্ষিণ ২৪ পরগনার সাগর ও গোসাবা, এবং উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালি ও হিঙ্গলগঞ্জ অঞ্চলের বেশ কিছু সাইক্লোন সেন্টার কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে বদলে ফেলা হয়েছ꧅ে। সেখানেই আশ্রয় পেয়েছেন কাকদ্বীপ ও ক্যানিং মহকুমায় ফিরে আসা শ্রমিকরা।
সন্দেশখালির বিধায়ক সুকুমার 🍷মাহাত জানিয়েছেন, কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে ঝড়ের ক্ষক্ষতির কথা পৌঁছানোর পরে বহু শ্রমিকই বুক চাপড়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন। বাড়ি ফেরার আশায় যাঁরা প্রচণ্ড কষ্ট সহ্য করে দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে রাজ্যে পৌঁছেছেন, তাঁদের স্বপ্নভঙ্গের ব্যথা সামনে থেকে দেখা কঠিন, স্বীকার করেছেন বিধায়ক। 🥂;
তাঁর কথার প্রতিধ্বনি শোনা গিয়েছে কর্নাটক থেকে ফিরে আসা মিনাখাঁর সরবেরিয়া গ্রামের বাসিন্দা বিদ্যুৎ সরদারের কণ্ঠে। হতাশ বিদ্যুৎ বলেন, ‘আমাদের এখন কাজ নেই, টাকা নেই, সঞ্চয় নেই আর থাকার আশ্রয়টুকুও নেই।🧸’
জয়নগরের সাংসদ প্রতিমা মণ্ডল বলেছেন, প্রতি মুহূর্তে আরও বেশি সংখ্যক নিঃসহায় মানুষের কথ𒐪া শোনা যাচ্ছে। সব হারানো মানুষগুলোক🥃ে কতটা ক্ষতিপূরণ দেওয়া যেতে পারে, সেই বিষয়ে নিশ্চিত নন সাংসদ।