কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর এই বাংলা সফর গিমিক ছাড়া আর কিছুই নয়। বৃহস্পতিবার🅘 এমনই মন্তব্য করলেন রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়নমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। বাংলায় অমিত শাহয়ের বৈঠক, আদিবাসী ও মতুয়াদের বাড়িতে খাওয়া–দাওয়াকে নাটক বলেই মনে করেন তিনি। তাঁর মতে, ‘উত্তরপ্রদেশে রোজ বহু দলিত ধর্ষিত হচ্ছে, বিজেপি শাসিত অন্য রাজ্যগুলিতে অত্যাচারের শিকার হচ্ছেন আদিবাসীরা। অমিত শাহ সে সব ঘটনা ঢাকা দেওয়ার জন্য এখানে এসে নাটক করছেন।’
ফিরহাদ হাকিম এদিন পরিষ্কার জানিয়ে দেন, ‘মতুয়া হোক বা আদিবাসী— কারও সঙ্গে বিজেপি নেই। ভোটের সময় তাঁদের কথা মনে পড়ে বিজেপি–র। ওরা (বিজেপি) বꦛিভাজনের রাজনীতি করে। আর আমরা (তৃণমূল) ঐক্যের রাজনীতিতে বিশ্বাসী।’ পুরমন্ত্রীর স্পষ্ট কথা, ‘বাংলা অমিত শাহর কাছে,🧸 গুজরাটের কাছে মাথা নীচু করবে না।’
বৃহস্পতিবার বাঁকুড়ায় এক আদিবাসীর বাড়িতে মধ্যাহ্নভোজ সারবেন অমিত শাহ। একইভাবে শুক্রবার তিনি দুপুরের খাবার খাবেন নিউটাউনের আদর্শপল্লীর বাসিন্দা এক মতুয়া সম্প্রদায়ের প্রতিনিধির বাড়িতে। তৃণমূল সাংস﷽দ সৌগত রায়ের মতো এইসব কর্মসূচিকে ‘লোকদ♒েখানো নাটক’ বলেই মনে করেন ফিরহাদ হাকিম। মতুয়াদের জন্য রাজ্য সরকার তথা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কী কী করেছেন এদিন তা মনে করিয়ে দিতে চান তিনি।
ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘মতুয়ায় বড়মার বাড়ির সংস্কার থেকে শুরু করে সব কিছু করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মতুয়া উন্নয়ন পর্ষদ, বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। আর অমিত শাহ এসে শুধু গিমিক🐬 দেখিয়ে আর তোয়াজ করলে মানুষ অতীতের সব ভুলে যাবে তা হতে পারে না।’
উল্লেখ্য, বুধবার নবান্নের এক অনুষ্ঠান থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মতুয়া উন্নয়ন পর্ষদ গঠন করে তার জন্য ১০ কোটি টাকা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন। তিনি অনুষ্ঠানে বলেন, ‘বড়মা থাকাকালীন নিজের হাতে মতুয়াদের🔯 উন্নয়নের ব্যাপার আমি দেখেছি। বড়মা যতদিন বেঁচে ছিলেন, প্রায় ২০–২৫ বছর ধরে বড়মার দেখাশোনা, চিকিৎসা— সবটাই আমি করতাম। আমি আসার পর মতুয়াদের ঠাকুরবাড়ির ওখানে রেলস্টেশনের উন্নয়ন, এলাকার উন্নয়ন হয়েছে। কলেজ তৈরি করে দিয়েছি।’ নাম না করে ওই অনুষ্ঠান থেকে বিজেপি–কে কটাক্ষ করে তি📖নি বলেন, ‘এখন যারা উড়ে এসে জুড়ে বসেছে তারা এ সব কিছুই জানে না।’