রাজ্যে ক্রমশ ঊর্ধ্বমুখী হচ্ছে করোনাভাইরাস সংক্রমণের গ্রাফ। সেই পরিস্থিতিতে সংক্রমণে লাগাম টানতে একাধিক বিধিনিষেধ জারি পশ্চিমবঙ্গ সরকার। তৃতীয় দফায় মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথগ্রহণের পর সেই বিধিনিষেধের ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পরে নবান্নের তরফে বিস্তারিতভাবে জানিয়ে দেওয়া হল, কী কী বিধিনিষেধ জারি করা হয়েছে।একনজরে দেখে নিন কী বিধিনিষেধ জারি করা হল, কোন কোন ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হল -১) সরকারি অফিসে কর্মীদের ৫০ শতাংশ উপস্থিতি করা হচ্ছে।২) বেসরকারি অফিসের ক্ষেত্রে বাড়ি থেকে কাজের ক্ষেত্রে উৎসাহ দেওয়া হবে। অফিস চালু থাকলেও সামাজিক দূরত্বের বিধি মানতে হবে। কোনওভাবেই কোনও শিফটে উপস্থিতি ৫০ শতাংশের বেশি হবে না।৩) ব্যাঙ্ক পুরো খোলা থাকবে না। গ্রাহকদের সকাল ১০ টা থেকে দুপুর ২ টো পর্যন্ত ব্যাঙ্ক চলবে। প্রতি শনিবার ব্যাঙ্ক বন্ধ থাকবে।৪) যাবতীয় শপিং কমপ্লেক্স, মল, বিউটি পার্লার, সিনেমা হল, স্পা, রেস্তোরাঁ, সুইমিং পুল, জিম, স্পোর্টস কমপ্লেক্স বন্ধ থাকবে।৫) কলকারখানা, মিল এবং চা বাগানে সর্বাধিক ৫০ শতাংশ কর্মী উপস্থিত থাকতে পারবেন।৬) যাবতীয় বিনোদন, রাজনৈতিক সংক্রান্ত জমায়েত নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। বিয়ে বা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সর্বাধিক ৫০ জন থাকতে পারবেন। সেজন্য আগে থেকে স্থানীয় প্রশাসনের অনুমতি নিতে হবে। শেষকৃত্যে ২০ জনের বেশি থাকার অনুমতি দেওয়া হবে না।৭) সকাল ৭ টা থেকে সকাল ১০ টা পর্যন্ত দোকান, বাজার, হাট খোলা রাখা যাবে। বিকেল ৫ টা থেকে সন্ধ্যা ৭ টা পর্যন্ত দোকান খোলা রাখতে পারবেন। তবে সোনার দোকান দুপুর ১২ টা থেকে দুপুর ৩ টে খোলা রাখা যাবে। শুধুমাত্র সোমবার থেকে শুক্রবার খোলা যাবে সোনার দোকান।ওষুধ দোকান, মুদিখানা দোকান, দুধের দোকান, মিষ্টির দোকান-সহ স্বাস্থ্য, দমকল, বিদ্যুতিক, টেলিকম এবং পুর পরিষেবার সঙ্গে যাবতীয় দোকান সেই বিধিনিষেধের আওতায় পড়বে না। অনলাইন সার্ভিস এবং হোম ডেলিভারিতে ছাড় আছে।৮) আগামী ৭ মে মধ্যরাত থেকে কলকাতা, বাগডোগরা, অন্ডাল বিমানবন্দরে আগত যাত্রীদের বাধ্যতামূলকভাবে আরটি-পিসিআর নেগেটিভ রিপোর্ট লাগবে। যাত্রা শুরুর ৭২ ঘণ্টার মধ্যে টেস্ট করতে হবে। যদি কোনও যাত্রী টেস্ট না করিয়ে আসেন, তাহলে তাঁকে ১৪ দিনের নিভৃতবাসে থাকতে হবে। থাকা-খাওয়ার খরচ সংশ্লিষ্ট যাত্রীকে দিতে হবে।৯) ভিন রাজ্য থেকে কলকাতায় আগত বাস এবং দূরপাল্লার ট্রেনে আগত যাত্রীদের বাধ্যতামূলক আরটি-পিসিআর নেগেটিভ রিপোর্ট লাগবে। যাত্রা শুরুর ৭২ ঘণ্টার মধ্যে টেস্ট করতে হবে।১০) আপাতত ১৪ দিনের জন্য লোকাল ট্রেনের পরিষেবা বন্ধ করা হচ্ছে।১১) সরকারি পরিবহনে ৫০ শতাংশ যাত্রী চলাচল করতে পারবে। মেট্রো চলবে। তবে তাতে ৫০ শতাংশ যাত্রী থাকতে পারবেন।১২) সেইসঙ্গে যাবতীয় করোনাভাইরাস সংক্রান্ত বিধি মেনে চলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যে সব স্কুল, মিল ও অন্যান্য জায়গায় কেন্দ্রীয় বাহিনী ছিল এবং ভোটের সময় ব্যবহৃত হয়েছে, সেখানে স্যানিটাইজেশন করা হবে। ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে কাজের সময়ের উপর জোর দেওয়া হয়েছে।