এগরায় বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের ১১ দিন পর সেখানে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গ্রামবাসীদের কাছে ক্ষমতা🐈 চাইলেন প্রশাসনিক ব্যর্থতার জন্য। কিন্তু ঘটনা ঘটে যাওয়ার ১১ দিন পর কেন ক্🥂ষমা চাইলেন মুখ্যমন্ত্রী তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিরোধীরা।
সিপিএম নেতা তথা রাজ্যসভার সাংসদ বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, 'একটা ঘটনা ঘটে যꦏাওয়ার পর ১১ দিন সময় লাগল কেন ক্ষমা চাইতে? মুখ্যমন্ত্রীর কি সত্যি দুঃখিত? নাকি কেউ তাঁকে বলেছেন গ্রামবাসীদের ক্ষোভ বাড়ছে। তাই তিনি ১১ দিন পর এগরা গিয়ে প্রশাসনিক ব্যর্থতার 🅠জন্য ক্ষমা চাইছেন। মানুষ মুখ্যমন্ত্রী এই নাটক ক্রমশ বুঝতে পারেছেন।'
বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, 'এরকম ক্ষমা উনি তো প্রতিদিনই চাইছেন। কেউ রাষ্ট্রপতিকে গালাগাল করে, উনি ক্ষমা চান। কেউ কুড়মিদের গালাগাল করেন, উনি ক্ষমা চান। সারা জীবন কি🐈 ক্ষমাই চাইবেন? কোনও সমাধান করবেন না?'
গত ১৬ মে এগারার খাদিকুলে বেআইনি বাজি কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ হয়। বিস্ফোরণে ১১ জন মারা যান। সেই ঘটনার ১২ দিনের🔴 মাথায় শনিবার সকালে এগরা গেলেন মুখ্যমন্ত্রী। মঞ্চ থেকে তিনি বলেন,'এগরার ঘটনার জন্য আমি মাথা নত করে ক্ষমা চাইছি।' নিহতদের পরিবারকে আড়াই লক্ষ টাকার চেক ও পরিবারের একজনকে হোমগার্ডের চাকরি দেন। সেই হোমগার্ডদেরꦺ সীমানারক্ষার কাজে লাগানোর জন্য নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী।
(পড়তে পারেন। পুলিশের উপর দোষ চাপিয়🌞ে এগরা বিস্ফো🌳রণের দায় ঝাড়লেন মমতা, বললেন ‘চোখ খুলে’ গিয়েছে)
তবে কেন তাঁর আসতে দেরি তার কারণও জানিয়েছেন মুখ্যম𓂃ন্ত্রী। তিনি আসার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে তাঁর আসা সম্ভব হয়নি। তবে শনিবা𒁏রও কলকাতা থেকে রওনা হওয়ার সময়ও বৃষ্টি হচ্ছিল। তবে সেই বাধা উপেক্ষা করেই তিনি এসেছেন বলে জানান।
বিরোধীদেরও ক♒টাক্ষ করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'একজন মানুষ যখন চলে যান, পরিবার ফেলে রেখে যান। তাঁ𝄹র পরিবারে তখন যাঁরা পড়ে থাকে, তারা দুর্দশায় মধ্যে পড়েন। এ নিয়ে অনেকে রাজনীতি, জলঘোলা করেছে। আমি কোনও রাজনীতি করতে এখানে আসিনি। আমি পরিষ্কার বলি, আমি মানবিক সাহায্যের হাত বাড়াতে এসেছি।'