পেশায় পরিযায়ী শ্রমিক স্বামীর স্বপ্ন ছিল টোটো কিনে বাড়ি থেকেই সংসার চালানোর। এর জন্য দিল্লিতে সেলাই কারখানায় শ্রমিকের কাজ করে তিল তিল করে জমিয়েছিলেন লক্ষাধিক টাকা। কিন্তু, এক নিমিষেই সেই স্বপ্ন ভেঙে চুরমার হয়ে গেল। স্বামীর কষ্ট করে জমানো টাকা, বাড়িতে রাখা সোনার গয়না নিয়ে প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়ে গেলেন স্ত্রী। ঘটনাটি মালদার হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকার ভেঙ্গল গ্রাম পঞ্চায়েতের ইসাদপুর গ্রামের। এই ঘটনায় স্ত্রীর বিরুদ্ধে 🍃থানায় দারস্ত হয়েছেন স্বামী সোহরাব আলী এবং তার পরিবার।
পারিবারিক সূত্রে জানা গিয়েছে, সোহরাবের সঙ্গে রুবি বিবির বিয়ে হয়েছিল ১২ বছর আগে। তাদের দুই পুত্র সন্তান রয়েছে। অভিযোগ, সোহরাব বাড়িতে না থাকার সুযোগে এলাকারই এক যুবকের সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে ছিলেন রুবি বিবি।🥀 এর আগে বিষয়টি জানাজানি হলে তাদের মধ্যে ঝামেলাও হয়েছিল। কিন্তু, পরে রুবি বিবি সোহরাবকে জানান তিনি এইসব ছেড়ে এখন ভালোভাবে সংসার জীবন পালন করতে চান। তাই টোটো কিনে বাড়িতে থেকেই সংসার চালানোর পরিকল্পনা ছিল সোহরাবের। তার কথায়, ‘ও যেখানে যেত সেখানেই এরকম অন্য ছেলেদের সঙ্গে সম্পর্ক করত। এর জন্য আমাদের মধ্যে ঝামেলা হয়েছে। তবে ও বলেছিল শেষবারের মতো দিল্লিতে যেতে। তারপরে টাকা জমিয়ে একটা টোটো কেনা হয়ে যাবে। সেই কারণে আমি এবার দিল্লি গিয়েছিলাম🃏। রমজান মাসের পরে গিয়েছ𒁃িলাম। কিন্তু তারপরে শুনি সে বাড়ি থেকে পালিয়ে গিয়েছে।’
ঘটনাটি তিন মাস হয়ে যাওয়ার পরেও এখনও কোনও খোঁজ না মেলায় আজ ফের হরিশ্চন্দ্রপুর থানায় যান সোহরাব এবং তার পরিবারের সদস্যরা। সোহরাবের বক্তব্য, কষ্ট করে জমানো টাকা তাকে ফি🐻রিয়ে দিতে হবে। পরিবারের অভিযোগ, দুই ছেলেকে শ্বশুরবাড়িতে রেখেই পালিয়ে গিয়েছিল রুবি। এই ঘটনায় তদন্ত করছে হরিশ্চন্দ্রপুর থানা পুলিশ।