প্রেমের টানে বাংলাদেশ থেকে এপার বাংলায় চলে এসেছিল এ෴ক যুবক। এখানে আসার পর মালবাজারের বাসিন্দা এক তরুণীকে বাংলাদেশে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন ওই যুবক। সেই ꧃সময় তাকে ধরে ফেলে পুলিশ। এদিকে, এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। ওই যুবকের বিরুদ্ধে পাচারের চেষ্টার অভিযোগ তুলে তাকে পুলিশের হাত থেকে ছিনিয়ে মারধরের চেষ্টা করেন। ঘটনায় পুলিশের সঙ্গে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে তরুণী পরিবার এবং গ্রামবাসীরা। ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা।
আরও পড়ুন :মেনে নেয়নি পরিবার, প্রেমের টানে মন্🐻দিরে একে অপরকে বিয়ে করল মালদার ২ যুবতী
পুলিশ সূত্🅠রে জানা গিয়েছে, যুবকের সঙ্গে সোশ্যাল মাধ্যমে পরিচয় হয়েছিল মালবাজার মহকুমার মেটেলি ব্লকের অন্তর্গত বিধাননগর গ্রাম পঞ্চায়েতের মাথাচুলকা গ্রামের ওই তরুণীর সঙ্গে। এরপর তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়। কয়েক মাস ধরে তাদের মধ্যে সম্পর্ক রয়েছে। এরপর যুবক তরুণীকে বিয়ের প্রস্তাব দেয়। তাতে তরুণী রাজি হয়ে যায। তবে পরিবারের লোকজন আপত্তি জানানোয় দুজনেই পালানোর সিদ্ধান্ত নেন। সেইমতোই যুবক বৈধ পাসপোর্ট, ভিসা তৈরি করে ওপার বাংলা থেকে মালবাজারে আসে। সোমবার এখানে আসার পর তরুণীকে বাংলাদেশ নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত ছিল এই যুবক। এদি💜কে, তরুণী বাড়িতে কিছু না জানিয়ে যুবকের সঙ্গে পালিয়ে যায়। তখন কোথাও খোঁজ না পেয়ে পরিবারের সদস্যরা মেটেলি থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন।
মঙ্গলবার মালবাজার সুপার স্পেশ্যালিটি হ🐻াসপাতালের সামনে থেকে মালবাজার থানার পুলিশ দুজনকে আটক করে। পরে মালবাজার থানার তরফে মেটেলি থানার পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। খ✨বর পেয়ে মেটেলি থানার পুলিশ যুবক এবং তরুণীকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে সেখান থেকে চলে যায়।
এরপরেই ঘটে বিপত্তি। জানা গিয়েছে, ক্যালটেক্স মোড় এলাকায় পৌঁছানোর পরে পুলিশের গাড়ি বিকল হয়ে ♎যায়। গাড়ি থেকে কালো ধোঁয়া বেরো হওয়ায় গাড়ি থামিয়ে দেয় পুলিশ। এদিকে, সেই সময় গ্রামবাসীরা সেখানে চলে আসেন। তারা পুলিশের গাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ করেন। তরুণী এবং 🎶যুবককে তারা ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। যুবককে তারা মারধর করতে শুরু করেন। ঘটনার খবর পেয়ে মালবাজার থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী সেখানে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, তাদের মেয়েকে পাচার করে দেওয়ার চেষ্টা করছিল ওই যুবক। আগে ওই যুবক তিনটি ব🌟িয়ে করেছিল। যুবক নারী পাচারের সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারে বলে সন্দেশ প্রকাশ করেন তরুণীর পরিবারের সদস্যরা। আপাতত ওই যুবককে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।