রাজ্যে নিয়োগে দুর্নীতির মধ্যেই পিএসসির মাধ্যমে খাদ্য দফতরের ফুড সাব ইন্সপেক্টর নিয়োগের প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে তার তদন্ত করছে সিআইডি। ইতিমধ্যেই এই কাণ্ডে অনেকেই গ্রেফতার করেছেন গোয়েন্দারা। তারইমধ্যে উঠল চাঞ্চল্যকর অভিযোগ। জানা যাচ্ছে, এক যুবক ফুড সাব ইন্সপেক্টরের ফর্ম ফিলাপই করেননি, অথচ মেধা তালিকায় তার নাম রয়েছে। ফর্ম ফিলাপ না করেই কীভাবে মেধা তালিকায় নাম আসল যুবকের?ꦍ তাই নিয়ে বড়সর প্রশ্ন উঠে🌠ছে। বিষয়টি জানার পরেই মালদার চাঁচোল থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই যুবক।
আরও পড়ুন: ফুড SI নিয়োগের 🎃পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁসে ধৃত সিজিও কমপেক্সে কর্মরত 🦋মাস্টারমাইন্ড সহ ২
জানা যাচ্ছে, ওই যুবকের নাম গোলাম সারোয়ার আলম সিদ্দিকী। তিনি মালদার চাঁচোলের মালতিপুরের বাসিন্দা। অভিযোগ, গোলামের সঙ্গে নদিয়ার ভীমপুরের বাসিন্দা পরিমল কুণ্ডুর পরিচয় হয়েছিল। পরিমল ফুড এসআইয়ের চাকরি পাইয়ে দেওয়ার জন্য গোলামকে প্রস্তাব দিয়েছিল। এর জন্য গোলামের কাছে ৭ লক্ষ টাকা দাবি করেছিল পরিমল। শুধু তাই নয়, স্থির হয়েছিল যে মেধা 🅷তালিকায় নাম ওঠার পরেই তিনি টাকা নেবেন। সেই মতোই পিএসসির ওয়েবসাইটে ২০১৮ সালের ফুড এসআইয়ের মেধা তালিকা দেখতেই আঁতকে ওঠেন ওই যুবক। তিনি দেখতে পান সত্যি সত্যিই মেধাতালিকায় তাঁর নাম রয়েছে।
এরপর গোলাম পরিমলের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তখন পরিমল তার কাছে অর্ধেক টাকা দাবি করে। শুধু তাই ♉নয়, সাত দিনের মধ্যে নিয়োগ পত্র পাঠানো হবে বলেও গোলামকে জানায় পরিমল। কিন্তু, গোলাম তাতে আপত্তি জানান। আর তারপরে পরিমল তাকে টাকা না দিলে প্রাণে✃ মেরে ফেলার হুমকি দিতে থাকে। শেষে আতঙ্কিত হয়ে থানায় অভিযোগ জানান ওই যুবক। তিনি এই ঘটনায় তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।
অভিযোগে যুবক লিখেছেন, তিনি পরীক্ষা দেওয়া তো দূরের কথা, ফুড এসআইয়ের ফর্ম ফিলাপ পর্যন্ত করেননি। সেক্ষেত্রে ২০১৮ সালের ফুড এসআই নিয়োগের ক্ষেত্রেও বড়সর দুর্নীতি হয়েছে বলে যুবক অভিযোগ করেছেন। তিনি আরও জানান, পরিমল তাকে চꦿাকরি করিয়ে দেওয়ার যে প্রস্তাব দিয়েছিলেন তাতে তার বিশ্বাস হয়নি। সেই কারণে তিনি মৌখিকভাবে মেধা তালিকায় নাম তুলে দেওয়ার জন্য পরিমলকে চ্যালেঞ্জ করেছিলেন। আর তিনি এখন দেখছেন তার নাম মেধা তালিকায় উঠেছে। তারপর থেকেই টাকা চেয়ে বারবার হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে গোলাম অভিযোগ করেন।