কেন্দ্রে বিজেপি সরকার গঠন হয়নি। হতে চলেছে এনডিএ সরকার। যার প্রধানমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেবেন নরেন্দ্র মোদী। বাংলাতেও তৃণমূল কংগ্রেস জিতে নিয়েছে ২৯টি লোকসভা আসন। ফলে ভোট এখানেই শেষ। কিন্তু কলকাতা হাইকোর্ট অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণি (ওবিসি) শংসাপত্র নিয়ে একটি রায় দিয়েছে। তাতে সাল উল্লেখ করে শংসাপত্র বাতিলের রায় শুনিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। আর সেই রায়ের জেরে এখন ডব্লিউবিসিএস–সহ অন্যান্য চাকরির নতুন প্রক্রিয়া থামানোর সিদ্ধান্ত ꦉনিয়েছে রাজ্য সরকার।
এদিকে কলকাতা হাইকোর্টের এ♕ই রায় মানেন না বলে জানিয়ে দিয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যুবক–যুবতীদের চাকরির ক্ষেত্রে কোনও প্রতিবন্ধকতা হোক সেটা চান না তিনি। আগেই স💦ে কথা জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। আর কলকাতা হাইকোর্টের সেই শংসাপত্র বাতিলের রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করতে চলেছে নবান্ন। যেভাবেই হোক বাংলার ছেলেমেয়েদের চাকরি দিতে চান মুখ্যমন্ত্রী। তাই এখন সুপ্রিম কোর্টে গিয়ে অন্তত স্থগিতাদেশ পাওয়ার চেষ্টা করা হবে বলে সূত্রের খবর। তার পরে বাকি প্রক্রিয়া নিয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে। এটাই চায় নবান্ন। আর সেই প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন: প্রথম বর্ষꦰে কলেজে ভর্তি নিয়ে জোর 🀅তৎপরতা শুরু, আবেদন করতে হবে পোর্টালের মাধ্যমে
অন্যদিকে লোকসভা নির্বাচনের সময় ২৬ হাজার শিক্ষকের চাকরি বাতিল করে দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। কিন্তু রাজ্য সরকার সুপ্রিম কোর্টে গিয়ে স্থগিতাদেশ নিয়ে এসেছিল। এবারও সেই চেষ্টা করা হচ্ছে। যতক্ষণ না পর্যন্ত স্থগিতাদেশের রায় মিলছে ততক্ষণ সব বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নবান্ন। কলকাতা হাইকোর্টের রায়ে নতুন চাকরির বিজ্ঞাপন থেকে প্রক্রিয়া সবই বন্ধ রাখা হচ্ছে। নবান্ন সূত্রে খবর, সুপ্রিম কোর্টে এখন গ্রীষ্মবকাশ চলছে। কলকাতা হাইকোর্টের রায়ের জেরে এখন🌌ই কাউকে চাকরি হারাতে হচ্ছে না। তাই আদালতের কাজ পুরোপুরি শুরু হলে তবেই রাজ্যের আবেদন জমা পড়বে সেখানে।
নবান্নের প্রশাসনিক সূত্রে খবর, পাবলিক সার্ভিস কমিশন কলকাতা হাইকোর্টের রায় প্রকাশ পাওয়ার আগে থেকেই নিয়োগের প্রক্রিয়া চালাচ্ছিল পিএসসি। তার জেরে কোনও ক্ষেত্রে পরীক্ষা নেওয়া হয়ে গিয়েছে। আবার যাঁরা যোগ্য তাঁদের ডাকাও হয়েছে ইন্টারভিউয়ে। তবে কলকাতা হাইকোর্টের রায়ের জেরে ওই প্রক্রিয়ায় সমস্যা হবে না বলে দাবি করছে পিএসসি। কিন্তু এখানে একটা বিষয় সামনে এসেছে যে, সুপ্রিম কোর্টের থেকে স্থগিতাদে🐼শ না পাওয়া পর্যন্ত ডব্লিউবিসিএস মেইনস পরীক্ষার আয়োজন এখন করা হচ্ছে না।