আবারও এক বাড়ি ভেঙে চরম বিপর্যয় শহর কলকাতায়। পুরনো ভবন ভেঙে মৃত্যু হল ২ জনের। ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল রাতে মধ্য কলকাতার এন্টালি অ✃ঞ্চলে। রিপোর্ট অনুযায়ী, মৃতদের নাম সাজিদুর রহমান ও মুজিবুর রহমান। তাঁদের বাড়ি তপসিয়ায়। বাড়ি ভেঙে পড়ার সময় ভিতরে ছিলেন তাঁরা দু'জন। সম্পর্কে মৃতরা ভাই। এদিকে বাড়ি ভেঙে এই বিপত্তির খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। জানা গিয়েছে, যেই ভবনটি ভেঙে গিয়েছে, সেটি আদতে পরিত্যক্ত একটি অ্যাসিড কারখানা ছিল। প্রায় ৪০ বছর ধরে সেই কারখানাটি বন্ধ অবস্থায় পড়ে ছিল।
জানা গিয়েছে, এন্টালিতে ২৩ কনভেন্ট রোডের কাছে এই পরিত্যক্ত কারখান💎াটি অবস্থিত ছিল। সম্প্রতি পরিত্যক্ত কারখানাটি কিনে নিয়েছিল অন্য একটি সংস্থা। সেখানেই কেয়ারটেকারের কাজ করতেন সাজিদুর। গতরাত প্রায় সাড়ে ৯টা নাগাদ কারখানার ভিতরে হঠাৎ আওয়াজ শুনতে পান সাজিদুর। সেই সময় বিষয়টি দেখতে ভিতরে ঢোকেন তিনি। তখন বাড়ির একাংশ ভেঙে পড়ে তাঁর ওপর। এদিকে এরপরই সেখানে সাজিদুরকে বাঁচাতে ভিতরে ঢোকেন ভাই মুজিবুর। তখন তাঁর ওপরও ভবনের ছাদ ভেঙে পড়ে। দু'জনেই চাপা পড়েন। সেই সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন মৃত হামিদুরের স্ত্রী। তিনি চিৎকার করে আশেপাশের লোকজনদের জানানন বিল্ডিং ভেঙে পড়ার বিষয়ে। পুলিশকে খবর𝄹 দেওয়া হয়। খবর পেয়ে ছুটে আসে এন্টালি থানার পুলিশ ও বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। দু’জনকে উদ্ধার করে দ্রুত এনআরএস হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকরা তখন জানান, দু'জনেরই মৃত্যু ঘটেছে। এদিকে এই ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকায়।
মেয়র ফিরহাদ হাকিম জানান, সোমবার বিল্ডিংটি ভঙার কাজ শুরু হবে। জানা গিয়েছে, ওই বিল্ডিংকে ৪ বছর আগেই পুরসভার তরফ থেকে 'বিপজ্জনক বাড়ি' হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছিল। মেয়র ফ♔িরহাদ হাকিম বলেন, 'এটি একটি পরিত্যক্ত কারখানা ছিল। বহুদিন ধরে বন্ধ হয়ে পড়েছিল। ভেতরে দু’জন সিকিউরি🧔টি ছিল। এরা তলায় চাপা পড়ে যায়। আমরা কাল থেকে বাড়িটি ভাঙার কাজ শুরু করব।' এদিকে ঘটনা নিয়ে তোপ দেগেছন কলকাতা পুরসভার কাউন্সিলর তথা বিজেপি নেতা সজল ঘোষ। তিনি বলেন, 'একটার পর একটা বাড়ি ভাঙছে। পুরসভার বিল্ডিং বিভাগ কী করছে?'