স্টেশন, নাকি বিমানবন্দর? ধরতে পারবেন না। খাস হাওড়া স্টেশনের ভবিষ্যত নিয়েই এমন দাবি করলেন পূর্ব রেলের জেনারেল ম্যানেজার অরুণ অরোরা। সোমবার তিনি জানালেন, ২০২৬ সালের মধ্যেই হাওড়া স্টেশন একেবারে বিমানবন্দরের মতো আধুনিক ও পরিচ্ছন্ন হয়ে উঠবে। আরও পড়ুন: ব্যান্ডেল স্টেশনের ৩৪৯ কোটির মেকওভারের প্ল্যান খতিয়ে দেখলেন রেল কর্তারা
অমৃত ভারত স🐬্টেশন স্কিমের অংশ হিসাবে, ভারত জুড়ে ১,২৭৫টি স্টেশনের পুনর্নির্মাণ প্রকল্প গ্রহণ করেছে ভারতীয় রেল। তার মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের হাওড়া, কলকাতা(চিৎপুর), ব্যান্ডেল এবং আসানসোল স্টেশনও পড়ছে। ২০২৬ সালের মধ্যেই এই স্টেশনগুলিকে একটি অত্যাধুনিক লুক দেওয়া হবে।
আসানসোল স্টেশনের নকশা ইতিমধ্যেই চূড়ান্ত করা হয়েছে। যাত্রীদের স্বাচ্ছন্দ্যের জন্য বিশাল, সুসজ্জিত ওয়েটিং লাউঞ্জ, স্পষ্ট সাইন এবং ডিজিটাল ডিসপ্লে সহ রিফ্রেশমেন্ট জোন গড়ে তোলা হবে। 'তিন বছরের মধ্যে, হাওড়া, কলকাতা, ব্যান্ডেল এবং আসানসোল স্টেশনের রূপ বদলে দেওয়া হবে। স্টেশনগুলি একেবারে আধুনিক প্রযুক্তিতে সজ্জিত হবে। সেখানে আলাদা আগমন এবং প্রস্থানের স্থান থাকবে। লাউঞ্জ, রুফটপ প্লাজ♚া এবং বিমানবন্দরের মতোই প্রবেশের স্থান থাকবে।
হাওড়ার মতো বড় স্টেশনকে নতুন করে সাজিয়ে তোলা মুখের কথা নয়। ভারতের অন্যতম বড় ও ব্যস্ত এই স্টেশনে দৈনিক গড়ে ১০ লক্ষেরও বেশি যাত্রী পা রাখেন। সেখানে কোনও অংশ বন্ধ♍ রেখে কাজ করা বেশ কঠিন বিষয়। তবে ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে সেই বড় ඣচ্যালেঞ্জই গ্রহণ করেছে ভারতীয় রেল।
হাওড়া স্টেশনে যাত্রীদের চলাচলের সুবিধার্থে, বিমানবন্দরের মতোই ওয়াক্যালেটর, লিফট এবং এসকেলেটরের মাধ্যমে আগমন এবং প্রস্থানের পথ আলাদা করা হবে। বাসের জন্য নির্দিষ্ট স্লট রাখা হবে। ব্যক্তিগত গাড়ি, ট্যাক্সি এবং অটোরিকশার জন্য পৃথক যাত্রী ড্রপ-অফ এবং পিক-আপের প্রস্তাব করা হয়েছে। যাত্রীদের পায়ে হেঁটে বের হওয়া ও স্টেশনের প্রবেশের পথও ঠিক করা হবে। বর্তমানে সেই রাস্তা এক নারকীয় পরিস্থিতিতে রয়েছে। তবে আগামী কয়েক বছরে সেই পরিস্থিতি একেবারে বদলে যাবে বলে আশাবাদী রেল কর্তারা। আরও পড়ুন: WB to get 3 new Vande Bharat Express: তিনটি নয়া বন্দে ভারত এক্সপ্রেস পাচ্ছে বাংলা, কোন রুটে চলবে? আলোচনা আরও একটি নিয়ে
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক