এবার প্রশ্ন উঠল দলের অন্দরেই। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) নিয়ে বিজেপিকে রীতিমতো অস্বস্তিতে ফেলে দিলেন চন্দ্রকুমার বসু। বিতর্কিত আইনকে কার্যত ‘ব্লান্ডার’ (সাংঘাত🐲িক ভুল) বলে মন্তব্য করলেন নেতাজি প্রপৌত্র।
এতদিন বিরোধীরা অভিয়োগ করছিলেন, ধর্মের বিরুদ্ধে ভেদ🍰াভেদ করছে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন। যা সংবিধানের ১৪ নম্বর ধারাꦗর পরিপন্থী। যদিও সংশোধিত আইন সংবিধানের কোনও ধারার বিরোধী নয় বলে সংসদে একাধিক যুক্তি পেশ করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। কেন্দ্র-রাজ্য বিজেপি নেতারাও এতদিন সেই লাইন বজায় রেখেছিলেন। কিন্তু, এবার বেসুরো গাইলেন চন্দ্র বসু।
গতকাল একটি টুইট বার্তায় তিনি লেখেন, 'যদি সিএএয়ের সঙ্গে কোনও ধর্মের সঙ্গে সম্পর্ক না থাকে তাহলে কেন আমরা শুধু হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান, পার্সি ও জৈন বলছি! কেন মুসলিমদেরও অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে না? স্বচ্ছ হওয়া যাক।'
দলের বিপরীত লাইনে মন্তব্য করায় টুইটারে বিজেপি সমর্থকদের রোষের মুখ পড়েন নেতাজি প্রপৌত্র। তাঁকে এক বিজেপি সমর্থক খোঁচা দিয়ে বলেন, 'আমি সত্যি বিজেপির তো?' জবাবে বিজেপির ঢঙেই তিনি বলেন, 'আমি ভারতের।' অপর এক টুইটার ইউজার বলেন, 'আমাদের নিজেদের মুসলিম আছে। তাহলে পাকিস্তান, বাংলা𝓡দেশ ও আফগানিস্তান থেকে মুসলিমের প্রয়োজন কি? তাহলে পাকিস্তান ও বাংলাদেশ তৈরির কী দরকার ছিল?' চন্দ্র বসু পালটা বলেন, 'পাকিস্তান তৈরি একটা ব্লান্ডার ছিল। কিন্তু, আরও ব্লান্ডার করা উচিত নয়।'
কেন ছ'টি সম্প্রদায়কেই নাগরিকত্ব দেওয়া হবে, সংসদে দাঁড়িয়ে সে ব্যাখ্যাও দিয়েছিলেন শাহ। তিনি দাবি করেছিলেন, ভারতের পড়শি ওই তিনটি দেশে সংখ্যালঘুরা (হিন্দু, 🔜শিখ, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান, পার্সি ও জৈন) ধর্মীয় নিপীড়নের শিকার হচ্ছেন। কিন্তু কারা আদতে ধর্মীয় নিপীড়নের শিকার তা নির্ধারণ করা অসম্ভব বলে মন্তব্য করেন বিজেপি নেতা। টুইটারে একটি প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'নিজেদের দেশে কেউ ধর্মীয় নিপীড়নের শিকার (হয়েছেন) কি না, তা প্রমাণ করা অসম্ভব। এটা শুধু একটা ধারণা। এটা সবার জন্য হওয়া উচিত।'
পরে আরও একটি টুইট বার্তায় বিজেপি নেতা বলেন, 'অ༒ন্য দেশের সঙ্গে ভারতের তুলনা করবেন না মেশাবেন না। কারণ সব ধর্ম-সম্প্রদায়ꦆের জন্য এই দেশের দরজা খোলা।'
চন্দ্র বসুর এই ফোঁসের জেরে যথেষ্ট অস্বস্তিতে পড়েছে বিজেপি। দলের তরফে সরকারিভাবে এখনও মুখ 🐎খোলা না হলেও বিজেপি যে বিষয়টি ভালোভাবে নেবে না, তা নিয়েে কোনও সন্দেহ নেই রাজনৈতিক মহলের।