শনিবার আরজি কর কাণ্ডের তিনমাস। ফের পথে নামবেন জুনিয়র ডাক্তাররা। একাধিক কর্মসূচির আয়োজন করা হচ্ছে। তবে সবটাই আরজি করে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার ন্যায় বিচারের দাবিতে। শনিবার দুপুর ৩টের সময় কলেজ স্কোয়ার থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত মিছিলের ডাক দিয়েছেন ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্টের সদস্যরা। কলকাতা সহ রাজ্যের বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজে হবে দ্রোহের গ্যালারি। দীর্ঘ আন্দোলনের বিভিন্ন টুকরো💧 সময়কে তুলে ধরা হবে এই গ্যাল🥃ারির মাধ্য়মে। এদিকে এই মিছিলকে সফল করতে বার্তা দিয়েছে আন্দোলনকারী চিকিৎসক কিঞ্জল নন্দ সহ অন্যান্যরা। সেই সঙ্গেই অভয়ার মঞ্চের তরফে ধর্মতলায় জনতার চার্জশিট কর্মসূচি পালন করা হবে।
এটা তো গেল জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্টের আন্দোলনের কর্মসূচি। জুনিয়র ডক☂্টরস অ্যাসোসিয়েশনও আলাদা করে কর্মসূচির আয়োজন করছে। তাদের তরফে স্টার থিয়েটারে গণকনভেনশনের আয়োজন করা হচ্ছে।
দাবি এক তবে কর্মসূচি কিন্তু আলাদা। এদিকে জুনিয়র ডাক্তাররা বার বার বলেছেন রাজপথ ছাড়ি নাই। রাজপথ তাঁরা ছাড়ছেন না। কিন্তু আন্দোলনের ফলে শেষ পর্যন্ত কতটা ন্যায় বিচার মিলল, কতꦆটা পদক্ষেপ নিল সরকার,কতটা সুরক্ষা বাড়ল হাসপাতালগুলিতে, কতজনকে সরিয়ে✅ দিল সরকার, কতটা দুর্নীতির বিরুদ্ধে কতটা ব্যবস্থা নিল সরকার, এই সব প্রশ্নের উত্তর মেলে না কিছুতেই।
দিনের পর দিন ধরে রাজপথে আন্দোলন। 🥂দিনের পর দিন ধরে অনশন। বহু সাধারণ মানুষ শাসকের রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করেই দাঁড়িয়েছিলেন প্রতিবাদকারীদের পাশে। কিন্তু তারপর কী হল? এই প্রশ্নটা ভাবাচ্ছে সকলকতেই।
তꦅিন মাসের একটা ঘটনা কার্যত গোটা দেশকে নাড়িয়ে দিয়েছিল। প্রতিবাদের ঝড় আছড়ে পড়েছিল বিদেশেও।
ফেসবুকে বার্তা দিয়েছেন চিকিৎসক কিঞ্জল নন্দ।
‘অবিচারের ৯০ দিন। ৯০ তম দিনে সুবিচার চাইনি। ক༒লেজে ভয়ের রাজনীতি নিজেদের মৌরুসীপাট্টা বজায় করছে। ক্যাম্পাসে ক্য়াম্পাসে ভয়ের রাজনীতি সমূলে উৎপাটিত করে গণতান্ত্রিক পরিবেশ তৈরির দাবিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য বাংলার প্রত্যেক শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষকে, গ্রাম কিংবা শহর,😼কারখানা থেকে ক্ষেত, হাসপাতাল থেকে রাজপথ সকলকে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়ে যাওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। ৯ নভেম্বর বিচারহীন ৯০ দিনে দুপুর ৩টে থেকে কলেজ স্কোয়ার থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত নাগরিক মিছিলে প্রত্যেককে আহ্বান জানাই। তিলোত্তমার বিচার না নিয়ে আমরা আন্দোলন ছাড়ছি না, রাজপথ ছাড়ছি না, উই ওয়ান্ট জাস্টিস।’ ফেসবুকে বার্তা চিকিৎসক কিঞ্জল নন্দের।