মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে গেল খাস কলকাতায়। গরমের দহন জ্বালা থেকে বাঁচতে পুকুরে স্নান করতে নেমেছিল তিন কিশোর। ඣতাতেই ঘটল বিপত্তি। তিনজনেরই ডুবে মৃত্যু হল। শুক্রবার বিকেলে ঘটনাটি ঘটেছে তিলজলার চৌভাগ এলাকার ৪২ নম্বর বাসস্ট্যান্ডের কাছে একটি পুকুরে। পরিবারের লোকজন দাবি করেছেন, তিনজনের মধ্যে কেউই সাঁতার জানত না। তার জেরে এমন ঘটনা ঘটেছে। মর্মান্তিক এই ঘটনায় শোকের ছায়া নেমেছে তিন কিশোরের পরিবারসহ গোটা এলাকায়।
আরও পড়ুন: তীব্র গরম থেকে রেহাই পেতে গঙ্গা꧒য় স্নান, তলিয়ে গেল ভ🎀িন রাজ্যের বাসিন্দা সহ ৩ জন
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত ⭕তিন কিশোরের নাম হলඣ- মহম্মদ সাহিল (১৬), মহম্মদ হায়দেরিয়াল (১৫) এবং মহম্মদ ইমতিয়াজ (১৪)। তাদের সকলের বাড়ি তিলজলার ৪২ নম্বর বাসস্ট্যান্ডের কাছে।
কীভাবে ঘটল এই দুর্ঘটনা?
প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, ৩ জন বন্ধু মিলে আজ শুক্রবার ꦇবিকেলে ওই๊ পুকুরে স্নান করতে গিয়েছিল। তাদের মধ্যে প্রথমে একজন কিশোর পুকুরে নামে। কিন্তু, পুকুরের পাড় থেকে কিছুটা এগিয়ে যেতেই ডুবে যেতে থাকে ওই কিশোর। তাকে বাঁচাতে তখন অন্য ২ কিশোর পুকুরের জলে ঝাঁপ দেয়। আর তাতেই ঘটে দুর্ঘটনা।
ওই পুকুরের পাশেই একটি বাড়িতে সিসি🍒টিভি রয়েছে। বাড়ির বাসিন্দারা ফুটেজে ঘটনাটি দেখতে পেয়ে তড়িঘড়ি ওই পুকুরের কাছে ছুটে যান। জানতে পেরে অন্যান্য স্থানীয়রাও সেখানে ছুটে যান। কিন্তু, ততক্ষণ তিনজনে ডুবে যায়। ঘটনায় খবর দেওয়া হয় পুলিশকে। খবর পেয়ে পুলিশ এবং বিপর্যয় মোকাবেলা বাহিনীর ডুবুরিরা দ্রুত সেখানে ছুটে আসেন। এরপর পুকুরে নেমে তল্লাশি চালান ডুবুরিরা। বেশ কিছুক্ষণ পরে তারা পুকুর থেকে একে একে ৩ কিশোরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসকরা তাদের মৃত ঘোষণা করে।
পড়ুনঃ শোভাবাজারের গঙ্গ🅘ায় তলিয়ে গেলেন এক ব্যক্তি, নবমীর দিন ঘটল মর্মান্তিক মৃত্যু
এমন মর্মান্তিকꦺ ঘটনায় শোকে পাথর তিন কিশোরের বাবা-মা। তাদের দাবি, তিনজনের মধ্যে কেউই সাঁতার জানত না। গরমের হাত থেকে বাঁচার জন্য তারা পুকুরে স্নান করতে নেমেছিল। এদিকে, স্থানীয়দের দাবি এই সময় তাদের পুকুরে নামতে নিষেধ করা হয়েছিল। কারণ এই সময়ে পুকুরের আশপাশে কেউ থাকে না📖। কিন্তু, বারণ সত্ত্বেও তারা পুকুরে নামায় মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে গেল। এদিন কিশোরদের দেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে পুকুরের পাড়ে ব্যাপক ভিড় জমে স্থানীয়দের। পুলিশ মৃতদেহগুলি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। পাশাপাশি ওই বাড়ির সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করেছে পুলিশ।