পুলিশ আইনের রক্ষক হলেও বিভিন্ন সময়ে তাদের বিরুদ্ধে নানান ধরনের অভিযোগ ওঠে। কখনও তোলাবাজি, কখনও মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ বা কখনও লক আপের মধ্যে পুলিশের বিরুদ্ধে বন্দিকে মারধর করার অভিযোগ প্রায়ই শোনা যায়। সম্প্রতি সুন্দরবনের ঢোলাহাট থানায় এরকমই ঘটনা ঘটেছিল, যেখানে এক যুবককে মিথ্যা চুরির মামলায় ফাঁসিয়ে থানায় নিয়ে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ উঠেছিল। তার ফলে মৃত্যু হয়েছিল ওই যুবকের। সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছিল। তবে পুলিশের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ থাকলে অনেক সময় সেই অভিযোগ নিতে চায় না থানা। এরকম অভিযোগও কম নয়। সেক্ষেত্রে সরাসরি আদালতে গিয়ে পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানান অভিযোগকারী। এই সমস্যার সমাধানে পদক্ষেপ করতে চলেছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার।
আরও পড়ুন꧑: ‘আপনি কি ভগবান!’ মারধরের মামলায় পুলিশকে তীব্র ভর্ৎসনা করে মন্ত♓ব্য বিচারপতির
জানা গিয়েছে, পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানানোর জন্য একটি কমিটি গঠন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই কমিটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘স্টেট পুলিশ কমপ্লেন্টস অথরিটি।’ এই কমিটিতে চারজন সদস্য রাখা হয়েছে। তাঁরা হলেন- প্রাক্তন বিচারপতি অসীম রায়, সচিব নন্দিনী চক্রবর্তী, রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার এবং কলকাত🐻া পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল। কমিটির মাথায় রয়েছেন প্রাক্তন বিচারপতি অসীম রায়। সেক্ষেত্রে পুলিশের বিরুদ্ܫধে কোনও অভিযোগ থাকলে এই কমিটির কাছে অভিযোগ জানাতে পারবেন যেকোনও সাধারণ মানুষ। থানায় যাওয়ার প্রয়োজন হবে না।
এতদিন এই ধরনের কোনও কমিটি না থাকায় পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাতে গিয়ে হয়রানির শিকার হতো সাধারণ নাগরিকদের। কারণ পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ অনেক সময় নিয়ে চায🅠় না পুলিশ। এমনকী উলটে অভিযোগকারীকে ভয়ও দেখানো হয়। আর তাতেই সমস্যায় পড়তে হয় অভিযোগকারীকে। তখন কলকাতা হাইকোর্ট অথবা নিম্ন আদালতের দ্বারস্থ হতে হয়। বর্তমানে কলকাতা হাইকোর্টে এই সংক্রান্ত সাড়ে ৩ হাজার মামলা রয়েছে। এবার এই ধরনের কমিটি থাকার ফলে সুবিধা হবে নাগরিকদের। যদিও এখনও পর্যন্ত নবান্নের তরফে আনুষ্ঠানিকভাবে এই কমিটির ঘোষণা করা হয়নি। এই কমিটি নিয়ে কোনও নির্দেশিকা এখনও জারি করা 🔯হয়নি। নির্দেশিকা জারি করলে কমিটি কী পদ্ধতিতে কাজ করবে তা স্পষ্ট হবে।