রাত তখন বেশ গভীর। সেই নিশুতি রাতে খাবার পৌঁছে দেওয়ার অর্ডার। দ্রুত গতিতে বাইক চালাচ্ছিলেন খাবার সরবরাহ করার কর্মী অভিজিৎ দাস। কিন্তু মধ্যমগ্রাম উড়ালপুলের উপর অপেক্ষা করেছিল মৃত্যু দূত। আচমকাই উলটো দিক থেকে আসা একটা বাইক সজোরে ধাক্কা দেয় অভিজিতের বাইকে। ছিটকে পড়েন অভিজিৎ। পড়ে যায় বিরিয়ানির কৌটো। পেছন থেকে ধেয়ে আসছিল একটি ট্রাক। তার নীচে চাপা পড়ে যায় অভিজিতের শরীর। ওই উড়ালপুলেই সব শেষ। ভেঙে চুরমার হয়ে গেল একটু ভালোভাবে বেঁচে থাকার স্বপ্ন। মাত্র ২৩ বছর বয়সেই চিরদিনের জন্য হারিয়ে গেলেন পরিবারের অন্য়তম 𓂃উপার্জনকারী সদস্য।
আসলে আগে খাবার পৌঁছে দিতে পারলে ভালো রেটিং। তার জেরে আবার পরের অর্ডার। সেই অর্ডার পেলে আবার বাড়তি টাকা। রাতের দিকে অন্যরা যখন ঘুমি🌠য়ে কাদা তখনই শহরের এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্ত ছুটতেন অভিজিৎ। প্রাণের মায়াকে তুচ্ছ করে কারোর বাড়িতে বিরিয়ানি, কারোর বাড়িতে চিলি চিকেন পৌঁছে দেওয়ার অর্ডার। সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চড়ত বাইকের গতি। বাইকের ঋণ শোধ করার জন্য় আপ্রাণ চেষ্টা করতেন তিনি। কিন্তু সে🧔ই বাইকই টেনে আনল মৃত্যু।
এদিকে উলটো দিক থেকে যে বাইক আসছিল তাতে তিনজন ছিলেন। তারা মত্ত অবস্থায় ছিলেন কি না তা পরিষ্কার নয়। তবে সেই বাইকে❀র চালকও হাসপাতালে ভর্তি। তারা হেলমেট ছাড়াই অত্য়ন্ত বেপরোয়া গতিতে চালাচ্ছিল বলে অভিযোগ।
অভিজিতের বাবা হোট൩েলে কাজ করেন। মা পরিচারিকা। মাস দেড়েক হল তিনি ফুড ডেলিভারি বয়ের কাজ করতেন। যত অর্ডার তত কমিশন। যত কমিশন ততই একটু একটু করে শোধ করা যাবে বাইকের লোন। এদিকে ভালো রেটিং পেতে গেলে সঠিক সময়ে খাবার পৌঁছে দিতে হবে। সেই লক্ষ্যেই ছুট💝ে চলা। বারাসতের রামকৃষ্ণ পল্লি এলাকায় ভাড়া থাকতেন ওই যুবক। দ্রুতগতিতে বাইক চালাচ্ছিলেন। কিন্তু আচমকাই দুর্ঘটনা।
প্রতিবেশꦍীরা জানিয়েছেন, অভিজিতের মৃত্য়ুতে ভেঙে পড়েছে গোটা পরিবার। কোনওরকমে ডেলিভারি বয়ের কাজ করে পরিবারের মুখে হাসি ফোটানোর চেষ্টা করছিলেন তিনি। ক♋িন্তু সেটাও শেষ হয়ে গেল।