রাষ🐭্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলির সংযুক্তিকরণের জন্য বেশ কয়েক মাস ধরেই ভুগতে হচ্ছে গ্রাহকদের। এমনই অভিযোগ বারবার তুলে আসছেন উপভোক্তারা। এবার সব কিছু ছাপিয়ে গেল। অভিযোগ উঠল, এই মাসের বেতওন আটকে গিয়েছে রাজ্যের শিক্ষক—শিক্ষাকর্মীদের।
সংযুক্তিকরণের আওতার বাইরে যেসব ব্যাঙ্কগুলি রয়েছে, সেখানে অ্যাকাউন্ট থাকা শিক্ষক-শিক্ষিকা, শিক্ষাকর্মীদের মার্চ মাসের বেতন ২ এপ্রিল ঢুকে গেলেও অভিযোগ উঠেছে মিশে যাওয়া ব্যাঙ্কগুলিতে অ্যাকাউন্ট থাকা শিক্ষক, শিক্ষাকর্মীরা এখনও বেতন পাননি। যদিও, দ্রুত এই স🍎মস্যা সমাধানে উদ্যোগী হয়েছে স্কুলশিক্ষা দফতর বলে জানা গিয়েছে। স্কুলশিক্ষা দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, সমস🃏্ত মিশে যাওয়া ব্যাঙ্কের ব্র্যাঞ্চের আইএফএসসি ও এমআইসিআর কোডগুলি জেলা পরিদর্শক অফিসগুলিতে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। সেখান থেকে এই তথ্য আপডেট করে সেই অনুমোদন আগামী সোমবারের মধ্যেই পুনরায় জমা করা হবে। স্কুলশিক্ষা দফতরের তরফে আরও জানানো হয়েছে, কোনও শিক্ষককে ব্যক্তিগতভাবে তথ্য আপডেট করার জন্য জেলা পরিদর্শক অফিস অথবা বিডিও অফিসে যেতে হবে না।
উল্লেখ্য, ১০টি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক সংযুক্ত হয়ে এখন চারটি ব্যাঙ্ক হয়েছে। ফলে কোনও কোনও ব্যাঙ্কের আইএফএসসি কোডে বদলে গিয়েছে। মিশে যাওয়া ব্যাঙ্কগুলিতে অনেকের স্যালারি অ্যাকাউন্ট রয়েছে। সেকারণে পশ্চিমবঙ্গ শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির তরফে একাধিকবা🌌র স্কুলশিক্ষা দফতর ও জেলা পরিদ𒐪র্শকদের কাছে ব্যাঙ্কের পরিবর্তিত তথ্য আপডেট করে দেওয়ার জন্য আবেদন জানানো হয়েছিল। কিন্তু সময়মতো তা না করায় মার্চের বেতন এখনও পাননি শিক্ষক-শিক্ষিকা, শিক্ষাকর্মীরা। এই বিষয়ে মাধ্যমিক শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলা সম্পাদক অনিমেষ হালদার বলেন, ‘সমিতির পক্ষ থেকে অনেক আগেই এই সমস্যার সমাধান চেয়ে আমরা রাজ্যের জেলা পরিদর্শকদের অফিস ও স্কুলশিক্ষা দফতরে আবেদন জানিয়েছিলাম। যেহেতু ব্যাঙ্কগুলির ব্র্যাঞ্চ অনুযায়ী, একটিই আইএফএসসি ও এমআইসিআর হয়, তাই আমরা স্কুলশিক্ষা দফতরকে কেন্দ্রীয়ভাবে ব্যাঙ্ক গুলোর সঙ্গে কথা বলে এই তথ্য আপডেট করে নেওয়ার দাবি জানিয়েছিলাম। কিন্তু তা করা হয়নি।'