গৃহবধূর বয়স মাত্র ২০। বাবা–মা কলকাতার ছেলে দেখে বিয়ে দিয়েছিল। মেয়ে সুখে থাকবে—এটাই তাঁরা ভেবেছিলেন। কিন্তু সেই মেয়েরই হল নির্মম পরিণতি। পণের দাবিতে রোজকার অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যার পথ বেছে নিলেন এই তরুণী গৃহবধূ বলে অভিযোগ। আর দেহ উদ্ধার করার সময় দেখা গেল, বাঁ–হাতের তালুতে লেখা সুইসাইড নোট।খাস কলকাতার টালিগঞ্জ এলাকায় এই ঘটনা ঘটেছে। হাতের তালুতে থাকা সুইসাইড নোটে লেখা রয়েছে, শাশুড়ির নাম। আত্মঘাতী তরুণী গৃহবধূর নাম পূজা চন্দ। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই মৃত গৃহবধূর স্বামী ও শাশুড়িকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাঁদের দফায় দফায় জেরা চলছে। স্থানীয় সূত্রে খবর, পণের দাবিতে এই গৃহবধূর উপর অত্যাচার চলত। পাড়ার কয়েকজনকে এই কথা তিনি বলেছিলেন। পুলিশ সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শ্বশুরবাড়িতে নিজের ঘর থেকেই উদ্ধার হয় পূজার ঝুলন্ত দেহ। তিনি বেডরুমে আত্মহত্যা করেছেন। তখন পরিবারের লোকেরা দেহ উদ্ধার করে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানেই চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধেই অভিযোগের আঙুল তুলেছেন পূজার পরিবার।পূজার বাবার অভিযোগ, পণের দাবিতে মেয়ে পূজাকে কষ্ট দেওয়া হতো। সে কথা সে একাধিকবার বলেছিল। তবে মিটে যাবে বলে মনে করা হয়েছিল। মানিয়ে নিয়ে চলতে বলা হয়েছিল। কিন্তু অত্যাচার এমন পর্যায়ে পৌঁছবে তা ভাবতে পারা যায়নি। তবে সুইসাইট নোটে শাশুড়ির অত্যাচারের কথা লেখা রয়েছে বিস্তারিতভাবে। পূজার বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে স্বামী সঞ্জয় চন্দ ও শাশুড়িকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে।