মুকুন্দপুরের একটি এটিএমে একটি যুবককে একাধিকবার ঢুকতে ও বেরোতে দেখা যায়। যুবকের এই ধরনের গতিবিধি দেখেই সন্দেহ বাড়ে সেখানে থাকা এক সিভিল ডিফেন্স কর্মীর। যুবককে জিজ্ঞাসাবাদের পর সন্তোষজনক উত্তর না পেয়ে পুলিশে খবর দেন তিনি। পুলিশ এসে ওই যুবককে গ্রেফতার করে। কী মতলবে যুবক এটিএমের সামনে ঘুরছিল, খতিয়ে দেখছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃত যুবকের নাম রাজেশ মণ্ডল। ধৃত যুবকের বাড়ি থেকে ল্যাপটপ, মোবাইল, ৪৪ হাজার ও বেশ কয়েকটি নথি উদ্ধার করা হয়। রাজেশ ঠিক কী উদ্দেশ্য নিয়ে এটিএমের সামনে ঘোরাঘুরি করছিল, সে বিষয়ে জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। রাজেশের সঙ্গে আর কেউ জড়িত রয়েছে কিনা, ব্যাঙ্ক ও এটিএম জালিয়াতি চক্র ফের গজিয়ে উঠছে কিনা, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। পুলিশ জানতে পেরেছে, রাজেশ ওই সিভিল ডিফেন্স কর্মীকে বলেছিল, তাঁকে যেন ছেড়ে দেওয়া হয়। তাহলে ওই কর্মীকে রাজেশ ১ লাখ টাকা দেবে। এর আগে খোদ কলকাতার বুকে এটিএম জালিয়াতির ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ এই ধরনের ঘটনার কিনারাও করেছে। ফের শনিবার একজন সন্দেহভাজন যুবককে এটিএমের সামনে ঘোরাঘুরির খবর সামনে আসায় নড়েচড়ে বসেছে পুলিশ। পুলিশ জানতে পেরেছে, যে সিভিল ডিফেন্স কর্মী যুবকটিকে ধরিয়ে দিয়েছে, তাঁর ফোনেও বেশ কয়েকদিন ধরে অজানা নম্বর থেকে ফোন আসছিল। ফোনের ওপার থেকে বলা হয়েছিল, তাঁর ডেবিট কার্ডের মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছে। তিনি যদি পিন নম্বর দেন, তাহলে সব ঠিক করে দেওয়া হবে। এই ধরনের ফোন পেয়ে ওই সিভিল ডিফেন্স কর্মীর সন্দেহ হয়। তিনি পিন নম্বর দেননি। উল্টে তিনি জানিয়েছিলেন, তিনি ব্যাঙ্কের বিষয়ে কিছু জানেন না। কাগজপত্র নিয়ে ফোনের ওপারে থাকা ব্যক্তির সঙ্গে দেখা করতে চান তিনি। এরপর থেকে অবশ্য ওই সিভিল ডিফেন্স কর্মীর কাছে আর কোনও ফোন আসেনি।