রাস্তায় প্রবল যানজটܫ। এমনকী যানজট এতটাই যে পুজো উদ্বোধনের পথে আটকে যাচ্ছে খোদ মুখ্যমন্ত্রীর গাড়ি। তবে এবার গঙ্গা নদীতে জলপথ পরিবহণের ভোল একেবারে বদলে যাচ্ছে। বড় সুবিধার ব্যবস্থা করা হচ্ছে জলপথে।
মূলত ত্রিবেণী থেকে একেবারে ডায়মন্ডহারবার পর্যন্ত এই ফেরি সার্ভিসের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। বিশ্ব ব্যাঙ্কের আর🤪্থিক সহায়তায় এই বিশেষ ফেরি সার্ভিসের ব্যবস্থা করা হবে। এনিয়ে গার্ডেনরিচ শিপ বিল্ডার্সের কাছে বরাত দেওয়া হয়েছে। সব মিলিয়ে ব্যাটারিচালিত ১৩টি ফেরি সার্ভিসের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
রাজ্য পরিবহণ দফতরের অধীনে রয়েছে ওয়েস্ট বেঙ্গল ট্রান্সপোর্ট ইনফ্রাস্ট্রাকচা💃র ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন। তারাও এই ধরনের জলযানের ক্ষেত্রে সম্মতি জানিয়েছেন। এই ধরনের জলযান সাধারণত ব্যাটারিতে 🌳চালানো হয়। তবে ডিজেলেও যাতে এই জলযান চালানো যায় তার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাও থাকবে।
তবে সবথেকে বড় কথা হল এই ধরনের ফেরি যথেষ্ট পরিবেশবান্ধব। কারণ এগুলি ব্যাটারি চালিত। সেক্ষেত্রে জ্বালানি তেল জলে ছ🍒ড়িয়ে ꦺপড়ে জলজ প্রাণীর ক্ষতি করতে পারবে না।
সব মিলিয়ে ২৩০ কোটি টাকার কাজের বরাত দেওয়া হচ্ছে। 🎀গার্ডেনরিচ শিপ বিল্ডার্সকে এই বরাত দেওয়া হচ্ছে। এর আগে গত জানুয়ারি মাসে ঢেউ নামে একটি ফেরি তৈরি করা হয়েছিল শিপ বিল্ডার্সের তরফে। সেটা দেখে ভালো লেগে যায় রাজ্য সরকারের।
এবার এই ফেরির নানা দিক সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
সব মিলিয়ে ১৩টি ফেরি। প্রতিটি ফেরির যাত্রী বহন ক্ষমতা ২০০জন করে♕। ফেরির মূল ডেক বা নীচের অংশটি এসি হবে। একেবারে ফুল এসি। এই ধরনের ফেরি ১২ নটিক্যাল মাইল গতিতে যেতে পারবে। ৬⛄টি ফেরি হবে দুটি ডেকযুক্ত।
বাকি সাতটি ফেরির প্রতিটির যাত্রী বহন ক্ষমতা ১০০জন করে। এই ফেরি নির্মাণের মোট খরচ ১০০ কোটি টাকা। অর্থাৎ ১৩টি ফেরি একই ধরনের হবে এমনটা নয়। এই ফেরির কিছুটা রকমফের থাকবে। 🔯;
তবে কেবলমা🍒ত্র নতুন কিছু ফেরি আসছে এমনটাই নয়। হুগলি নদীর জলপথ বিকাশের আওতায় যে 🐲ফেরি রয়েছে তার মধ্যে কিছু ফেরিকে একেবারে ঢেলে সাজানো হবে। মূলত যাত্রী সংখ্য়া কতটা হয় তার উপর নির্ভর করেও এই জেটিগুলিকে বেছে নেওয়া যেতে পারে। টিকিট পরীক্ষার জন্য অটোমেটিক গেটের ব্যবস্থা থাকবে। থাকবে ক্যাফেটারিয়া। এছাড়াও শৌচাগারের ব্যবস্থা থাকবে জেটিতে। অত্যাধুনিক নানা ব্যবস্থা থাকবে এই জেটিগুলিতে।