আজ, রবিবার নয়া রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে চিঠি লিখলেন প্ꦇরদেশ কংগ্রেস সভাপতি তথা বহরমপুরের সাংসদ অধীররঞ্জন চৌধুরী। এই চিঠি মূলত ঝালদা পুরসভার সাম্প্রতিক অবস্থা নিয়ে লিখেছেন তিনি। তবে এখানে রাজ্য সরকারকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন অধীর। এমনকী এখানের গণতান্ত্রিক অধিকার ধ্বংসের ষড়যন্ত্রের অভিযোগ চিঠিতে রাজ্যপালকে লিখেছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী। আর এই পরিস্থিতিতে রাজ্যপালের কাছে হস্তক্ষেপ চাইলেন তিনি। ঝালদা পুরসভা নিয়ে রাজ্যপালকে লেখা এটা তাঁর দ্বিতীয় চিঠি।
ঠিক কী পরিস্থিতি ঝালদা পুরসভায়? পুরসভা নির্বাচনের পর থেকে পুরুলিয়ার ঝালদা পুরসভায় রাজনৈতিক টানাপোড়েন দেখা দেয়। কারণ এই পুরসভার ফলাফল ত্রিশঙ্কু হয়। তারপর বোর্ড গঠনের আগেই খুন হন কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান🍰্দু। সেটা নিয়ে এখন সিবিআই তদন্ত চলছে। খুনের পিছনে রাজনৈতিক কারণ আছে বলে অনেকে মনে করেন। এই পরিস্থিতিতে আপাতত ঝালদা পুরসভায় দু’জন চেয়ারম্যান। পুরসভার নিয়ম মেনে একজনকে বসিয়েছে রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর। আর একজনকে নির্বাচিত করেছেন বিরোধী দলের কাউন্স🃏িলররা। এখম এই পুরসভার ক্ষমতা কার হাতে থাকবে তা নিয়েই অধীরের চিঠি বলে মনে করা হচ্ছে।
ঠিক কী লিখেছেন অধীর? আজ, রবিবার রাজ্য♊পালকে চিঠি দিলেন অধীর চৌধুরী। তাঁর অভিযোগ, সমস্ত পুর–আইনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে নির্বাচিত পুরপ্রধানকে গুরুত্ব না দিয়ে ঝালদা পুরসভায় প্রশাসক নিয়োগ করা হয়েছে। সরকারি প্রতিষ্ঠানেই গণতান্ত্রিক⛦ভাবে নির্বাচিত প্রতিনিধির ক্ষমতা কেড়ে নেওয়া হয়েছে। দয়া করে হস্তক্ষেপ করুন। অধীর চৌধুরীর এই চিঠি নতুন করে রাজনৈতিক টানাপোড়েন বাড়াবে🎀 বলে মনে করা হচ্ছে।
আর কী জানা যাচ্ছে? বিরোধী কাউন্সিলররা পুরপ্রধান নির্বাচিত করেছেন। কিন্তু তাঁকে মানতে রাজি নয় সরকার। পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেছেন যাঁকে চেয়ারপার্সন হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে তিনিই পুরপ্রধান নির্বাচনের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করবেন। যার অর্থ দাঁড়ায়, কংগ্রেসের সভাকে সরকার বৈধতা দিচ্ছে না রাজ্য সরকার। এই পরিস্থ🎐িতিতে এবার রাজ্যপালকে চিঠি লিখলেন ⭕প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি।