বেড়েই চলেছে শিশুমৃত্যু। দাপট অব্যাহত অ্যাডিনোভাইরাসের। আর তার জেরে রাজ্যে থরহরি কম্প অবস্থা। ইতিমধ্যেই বাংলায় পাঁচ দিনে ১৮ জন শিশুর মৃত্যু হয়েছে। বেড়েই চলেছে আক্রান্তের সংখ্যা। এই পরিস্থিতিতে আবার বি সি রায় হাসপাতাল থেকে এল আড়াই মাসের শিশু মৃত্যুর খবর। হাসপাতাল সূত্রে খবর, নিউমোনিয়ায় আক্ဣরান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে শিশুটির। তবে কোনওরকম প্যানিক না করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে। ইতিমধ্যেই চালু করা হয়েছে কন্ট্রোল রুম।
ঠিক কী ঘটেছে হাসপাতালে? হাসপাতাল সূত্রে খবর, চারদিন আগে শনিবার জ্বর–সর্দি এবং কাশি নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয় এই শিশু। বাড়ি উত্তর ২৪ পরগনার বারাসতে। রাতারাতি শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। বুধবার মাঝরাতে মৃত্যু হয় শিশুটির। শিশুটির দাদু বলেন, ‘ওর নিউমোনিয়া হয়ে গিয়েছিল। শনিবার জ্🍸বর নিয়ে ভর🍷্তি হয়েছিল। তবে হাসপাতালে ভর্তির পর কয়েকটা দিন ভাল ছিল। কিন্তু আবার জ্বর আসায় আইসিইউ–তে ভর্তি করা হয়। কিন্তু বাঁচানো গেল না।’
এদিকে মাত্র কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে কলকাতার 🧸দুটি সরকারি হাসপাতালে ৪ শিশুর মৃত্য়ু হল। বুধবার দুই শিশুমৃত্যুর খবর আসে বি সি রায় হাসপাতা🍎ল থেকে। এই ধারা অব্যাহত থাকায় আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়েছে অ্যাডিনোভাইরাস নিয়ে। এই ভাইরাস মোকাবিলায় টোল ফ্রি নম্বর চালু করল রাজ্য সরকার। টোল ফ্রি নম্বর—১৮০০ ৩১৩ ৪৪৪ ২২২। মোট ৬০০ জন পেডিয়াট্রিশিয়ান পরিস্থিতির উপর নজর রাখছেন। এমনকী প্রয়োজনে শিশুদের জন্য বেডের সংখ্🅠যা বাড়ানো হবে বলেও খবর।
অন্যদিকে রাজ্য সরকারের জারি করা প্রেস বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, গত একমাসে অ্যাকিউট রেসপিরেটরি ইনফেকশন জনিত ৫ হাজার ২১৩টি কেস পাওয়া গিয়েছে। তার মধ্যে সরকারি হাসপাতালগুলিতে অ্যাডিনোভাইরাসের জেরে মৃত্যু হয়েছে ১২ জনের। যদিও তার মধ্যে ৮ জনের জটিল কোমর্বিডিটি ছিল। এই অবস্থায় রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরকে তৎপরতার সঙ্গে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অ্যাডিনোভাইরাসের কবলে শিশু মৃত্যু ঠেকাতে যুদ্ধকালীন তৎপꦑরতায় প্রশাসনকে মাঠে নামার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। উদ্বিগ্ন মুখ্যমন্ত্রী মঙ্গলবার নবান্নে স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগমের সঙ্গে একটি বৈঠকও করেন।
এই খ𒊎বরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক //htipad.onelink.me/277p/p7me4aup