২০২২ সালের ১৫ অগস্ট পালিত হয়েছে দেশের গর্বের ৭৫ বছরের স্বাধীনতা পূর্তি উৎসব। ২০০ বছরের ইংরেজের রাজত্বকালের শিকল ছিঁড়ে দেশের স্বাধীনতার যুদ্ধের সঙ্গে জড়িয়ে থাকা বহু দুঃসাহসিক রক্তক্ষয়ী অধ্যায় সেই সঙ্গে আলোচিত হয়ে চলেছে। এমন এক প্রেক্ষাপটে সদ্য কয়েক মা⛄স আগেই উদ্বোধন হয়েছে আলিপুর জেল মিউজিয়ামের। সেখানে স্বাধীনতা সংগ্রামের বহু স্মৃতিবিজড়িত ইতিহাসকে সরꦡ্বসমক্ষে তুলে ধরাই মূল প্রয়াস। এবার এই মিউজিয়াম রয়েছে বিতর্কে।
দেশ মাতৃকার প্রতি অসামান্য শ্রদ্ধা রেখে যাঁরা নিজেদের জীবন বিসর্জন দিয়ে দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামকে বাস্তব রূপ দিয়েছিলেন, সেই বিপ্লবীদের বহু ইতিহাস আলিপুর মিউজিয়ামে তুলে ধরা হয়েছে। তবে সদ্য সেখানে এই বীর বিপ্লবী শহিদদের নাম নিয়ে খাবারের মেনুর নামকরণ ঘিরে বড়সড় বিতর্ক দানা বাঁধতে শুরু করে দিয়েছে। মিউজিয়ামটির একাংশ ঘিরে রয়েছে ক্য়াফেটেরিয়া। যাঁর নাম দেওয়া হয়েছে ‘স্বাধীনতা’। সেখানে খাবারের বহু মেনুতে স্বাধীনতার আন্দোলন ও স্বাধীনতা সংগ্রামীদের নামকরণ সংযুক্ত করা হয়েছে। কোনও ডিশের নাম বি-বা-দী (বিনয় বাদল দীনেশ) , কোনওটির নাম সাঁওতাল বিদ্রোহ। এই নামকরণ কতটা শোভনীয়? তা নিয়েউ নেটিজেনের একাংশের প্রশ্ন। যাঁদের রক্তে দেশ স্বাধীন হয়েছে, যে সমস্ত বিদ্রোহ আন্দোলনের ইতিহাস দৃপ্ত কণ্ঠে ইংরেজ শাসনকে চ্যালেঞ্জ দিয়েছিল, সেই সমস্ত অধ্যায়কে খাবারের নামে নামকরণ করে তার সম্মান কতটা তুলে ধরা হচꦦ্ছে? এই প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। এই নিয়ে উঠে এসেছে পোস্টও।
এদিকে, এক নামী বাংলা সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, এই ইস্য়ুতে সরব হয়েছ♓েন বিদ্বজ্জনেরা। ইতিহাসবিদ নৃসিংপ্রসাদ ভাদুড়ি থেকে সাহিত্যিক বিনোদ ঘোষাল এই ইস্যুতে সরব হয়েছেন। নৃসিংপ্রসাদ ভাদুড়ির মতে এটি অত্যন্ত ‘দৃষ্টিকটু’। বিনোদ ঘোষাল বলছেন, ‘এর চেয়ে নির্বুদ্ধিতা, হাস্যকর, দুঃখজনক ঘটনা আর হয় না’। সোশ্যাল মিডিয়াতেও এই নামকরণ পরিবর্তনের দাবি উঠছে।