বিধানসভা নির্বাচন মিটতেই সরগরম হয়ে উঠল ম🥂াদক কাণ্ড। কারণ পামেলা কাণ্ডে এবার পুলিশের জালে রাকেশ সিং ঘনিষ্ঠ অমৃত রাজ। পুলিশ সূত্রে খবর, মাদক কাণ্ডের পরই পুলিশের হাত থেকে বাঁচতে নেপালে গা ঢাকা দিয়েছিল সে। দশ দিন আগেই ভারতে প্রবেশ করে অমৃত। তারপর লখনউতে ছিলেন কয়েকদিন। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পলাতক অমৃতের আর একটি নাম নারায়ণ। আলিপুর মাদক মামলায় এটা অব♏শ্যই গোয়েন্দা দফতরের সাফল্য।
জানা গিয়েছে, কলকাতা পুলিশের মাদক নিয়ন্ত্রণ বিভাগ লখনউয়ের আদালতে তুলে ট্রানজিট রি𓆏মান্ডে রাজ্যে নিয়ে আসা হয়েছে। সোমবার তাকে তোলা হবে আলিপুর আদালতে। দফায় দফায় জেরা করা হয়েছে তাকে। সেখানে অমৃত রাজ ওরফে নারায়ণ জানিয়েছে, পুলিশের হাত থেকে বাঁচতেই সে নেপালে গা ঢাকা দিয়েছিল। ১০ দিন হল সে ভারতে ফিরেছেꩲ।
তারিখ ১৯ ফেব্রুয়ারি। নিউ আলিপুর থেকে পামেলা গোস্বামী ও প্রবীর নামে এক যুবককে গ্রেফতার করে পুলিশ। পামেলার ব্যাগ থেকে উদ্ধার হয় কোকেন। পামেলা বারবার অভিযোগ করেন, তাঁকে ফাঁসানো হচ্ছে। এই ঘটনার নেপথꦺ্যে রয়েছে রাকেশ সিং। তাঁর অভিযোগ ছিল, গাড়িতে থাকা অমৃত নামের এক যুবক তাঁর ব্যাগে কোকেন রেখেছিল। আর তা রাকেশ সিংয়ের নির্দেশেই ঘটেছে। পামেলার অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। গ্রেফতার করা হয় রাকেশ সিং ও তার ঘনিষ্ঠ বেশ কয়েকজনকে।
উল্লেখ্য, গত ৩ মে আলিপুর মাদক মামলায় চার্জশিট দেয় পুলিশ। ওඣই চার্জশিট থেকে বাদ দেওয়া হয় বিজেপি যুব মোর্চার নেত্রী পামেলা গোস্বামী, তাঁর সঙ্গী ও নিরাপত্তারক্ষীকে। চার্জশিটে রাখা হয় রাকেশ সিং–সহ মোট ৮ জনের নাম। রাকেশ ও অমৃত রাজকে পলাতক দেখানো হয়েছিল। আর দুই মাদক পাচারকারীর কাছে কোকেন কিনেছিল রাকেশ সিং। অমৃত রাজ সিং নামে একজনের সাহায্যে ওই কোকেন রাখা হয় পামেলার গাড়িতে।