ঘটনার দিন খবর পেয়েই তপসিয়ায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাস্থলে পৌঁছে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ত্র🎉াণ ও অন্য সাহায্যের পাশাপাশি এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছিলেন তিনি। কথা রাখলেন জননেত্রী। তপসিয়ার দাতাবಞাবা এলাকায় পুড়ে ছাই হয়ে যাওয়া বস্তির ক্ষতিগ্রস্ত বাসিন্দাদের ‘বাংলার বাড়ি’ প্রকল্পে পাকা ঘর তৈরি করে দেবে রাজ্য সরকার। বুধবার এ কথা জানান রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়নমন্ত্রী এবং পুরসভার মুখ্য প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম।
মঙ্গলবার রাতে ভয়াবহ আগুনে তপসিয়া খালপাড়ে ৭০ থেকে ৮০টি ঝুপড়ির সর্বস্ব পুড়ে যায়। নিরাশ্রয় হয়ে পড়ে🐻ন প্রায় ২৫০ জন বাসিন্দা। তাঁদের পাশে দাঁড়াল রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশেই সেচ দফতরের জমিতে ক্ষতিগ্෴রস্ত বস্তিবাসীদের সকলকে বাড়ি তৈরি করে দেওয়া হবে বলে জানান ফিরহাদ হাকিম।
রাজ্যের পুরমন্ত্রী বলেন, ‘পাকা বাড়িতে আর আগের মতো আগুন লাগার ভয় থাকবে না। ওই বস্তিতে আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত সবাইকে ফ্ল্যাট বাꦛড়িতে সরিয়ে দেওয়া হবে। বিশেষ প্রকল্পে তাঁদের ‘বাংলার বাড়ি’ তৈরি করে দেওয়ার জন্য ইতিমধ্যে একটি বিশেষ প্রকল্প অনুমো🌳দন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।’
কবে থেকে শুরু হবে এই বাড়ির কাজ? এই প্রশ্নের উত্তর আপাতত দিতে পারেননি কলকাতা পুরসভার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিকরা। আপাতত ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাবাসীকে ত্রাণ ও খাবার সামগ্রী দিচ্ছে কলকাতা পুরসভা। তাঁদের জন্য অস্থায়ী ছাউনিরও ব্যবস্থা করা হয়েছে। একইসঙ্গে ক্ষতিগ্রস💟্তদের পাশে দাঁড়িয়ে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন স্থানীয় বিধায়ক মন্ত্রী জাভেদ খান।
এদিকে পুলিশ জানিয়েছে, ওই ঝুপড়ির মধ্যেই ছিল একটি বেআইনি রাসায়নিক কারখানা। সেখানেই কারও ছুঁড়ে সিগারেট টুকরো থেকে প্রথম আগুন লাগে। আগুল লেগে বিস্ফোরণ ঘটে ওপরের দিকে ছিটকে যায় কোনও রাসায়নিকের পাত্ওর। আর তা থেকেই চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে আগুন। ফরেনসিক ও দমকলের তরফ থেকে ঘটনার তদন্ত শুরু করা হলেও এ নিয়ে পুলিশে কোনও এফআইআর দায়ের হয়নি বলে জানা গিয়েছে।