বেশ কয়েক মাসের টালবাহানার পর অবশেষে বড় পদক্ষেপ শুভেন⛄্দু অধিকারীর। শুক্রবার পশ্চিমবঙ্গের পরিবহণ ও সেচ দফতরের মন্ত্রিত্ব থেকে ইস্তফা দিলেন তিনি। আর এই ঘটনা তৃণমূলের জন্য অশনি সংকেত বলে দাবি করলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। শুভেন্দুর মন্ত্রিত্ব থেকে ইস্তফার খবরে অধীরের প্রতিক্রিয়া, ‘তৃণমূলের অস্তিত্ব লোপ পাওয়ার প্রক্রিয়া এই মুহূর্ত থেকে শুরু হয়ে গেল।’
এদিন কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরী বলেন, ‘তৃণমূল দলের জন্য এই ঘটনা আসলেই একটা অশনি সংকেত। তৃণমূল আগামী দিনে ভেঙে টুকরো–টুকরো হয়ে যাবে। এগুলো তার শুরু। অতএব এখনও যাঁরা তৃণমূল করছেন, তাঁরা ভেবে দেখবেন। কারণ, তৃণমূলের অস্তি🥃ত্ব লোপ পাওয়ার প্রক্রিয়া এই মুহূর্ত থেকে শুরু হয়ে গেল।’
এদিন অধীর চৌধুরী জানান, শুভেন্দু অধিকা🅷রী ও তাঁ꧙র পরিবারের সঙ্গে তাঁর রাজনৈতিক প্রতিপক্ষতা বরাবরই ছিল। তাঁর কথায় ‘তৃণমূলের যে কটা বড় বড় মাথা তাঁদের মধ্যে অন্যতম শুভেন্দু অধিকারী ও তাঁর পরিবার। তৃণমূলের সব বড় বড় স্তম্ভ এরা। স্তম্ভ যখন ভাঙা শুরু করেছে তখন অট্টালিকা বেশিদিন থাকতে পারবে না। তৃণমূল নামক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অট্টালিকা ধীরে ধীরে ভাঙনের পথে এগিয়ে চলেছে। আগামীদিনে তা ভস্মীভূত হবে।’
শুক্রবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি লিখে মন্ত্রিত্ব থেকে পদত্যাগের কথা জানিয়ে দেন শুভেন্দু। একইসঙ্গে র🤪াজ্যপাল জগদীপ ধনখড়কেও তিনি মেল করে এ ব্যাপারে অবগত করেছেন। কিন্তু কী কারণে তিনি পদত্যাগ করলেন সে ব্যাপারে চিঠিতে কিছু জানাননি তিনি। তবে রাজ্যের মানুষের সেবা করার সুযোগ দেওয়ার জন্য চিঠিতে রাজ্য ♔সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন শুভেন্দু।