দীর্ঘদিন শয্যাশায়ী বৃদ্ধার মৃত্যুতে তেমন অস্বাভাবিক কিছু মনে হয়নি পরিজনদের। কিন্তু বৃদ্ধার ঘরের সিসিটি💫ভি ফুটেজ খ🍎তিয়ে দেখতেই আঁতকে উঠলেন তাঁরা। গোপন ক্যামেরার ফুটেজে দেখা গেল বৃদ্ধাকে রীতিমতো মারধর করছেন আয়া। এমনকী তাঁর মুখে বালিশ চাপা দিচ্ছেন। এর পর আয়া সোফিয়া খাতুনের বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু করে পরিবার। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গত ১১ সেপ্টেম্বর কলকাতা লাগোয়া বাগুইআটির অনুপমা আবাসনে নিজের ফ্ল্যাটেই মৃত্যু হয় ৭০ বছরের বৃদ্ধা কলা মিশ্রের। ৭ বছর ধরে শয্যাশায়ী ছিলেন তিনি। ২ জন আয়া তাঁর দেখভাল 🍌করতেন। একজন দিনে ও একজন রাতে। বৃদ্ধার ফ্ল্যাটে আর কেউ থাকতেন না। দীর্ঘ রোগভোগের পর বৃদ্ধার মৃত্যু হওয়ায় তেমন অস্বাভাবিক কিছু মনে হয়নি কারও। তাই বিধি মেনে তাঁর দেহের সৎকারও করে ফেলেন সন্তানরা। 🥀এর পর বৃদ্ধার ঘরে লাগানো সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ পরীক্ষা করেন তাঁরা। তাতে দেখা যায়, ১০ সেপ্টেম্বর সারা রাত ধরে বৃদ্ধার ওপর নির্মম অত্যাচার চালিয়েছেন রাতে তাঁর দেখভালের দায়িত্বে থাকা আয়া সোফিয়া খাতুন। মারধরের পাশাপাশি বৃদ্ধার মুখে বালিশ চাপা দিতে দেখা যায় তাঁকে। এর পরই ওই মহিলার বিরুদ্ধে বাগুইআটি থানায় অভিযোগ দায়ের করে বৃদ্ধার পরিবার। অভিযোগ পেয়ে অভিযুক্ত আয়াকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বিধান🧸নগর পুলিশ কমিশনারেটের ডিসি ঐশ্বর্য সাগর জানিয়েছে, ধৃত মহিলা জানিয়েছেন, রোজ রাতে কলাদেবীকে খাইয়ে পাশে মাটিতে বিছানা করে ঘুমিয়ে পড়তেন তিনি। কিন্তু ওই রাতে বৃদ্🔯ধা কোনও কারণে নানা রকম আওয়াজ করছিলেন। যেজন্য বার বার তাঁর ঘুম ভেঙে যাচ্ছিল। তাই বৃদ্ধাকে মারধর করেছিলেন তিনি।