উত্তপ্ত বাংলাদেশের দিকে বিশেষ নজর রয়েছে রাজ্য সরকারের। এই বিষয় নিয়ে নয়াদিল্লির সঙ্গে যোগাযোগ করেছে নবান্ন। বাংলার কেউ ওপার বাংলায় আটকে রয়েছেন কিনা সেটা দেখার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে আর্জিও জানিয়েছে♌ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। এমনকী নয়াদিল্লিতে রাজ্যের রেসিডেন্সিয়াল কমিশনারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রের সঙ্গে যোগাযোগে থাকার। সংরক্ষণের বিরোধিতায় ছাত্র আন্দোলনে উত্তাল গোটা বাংলাদেশ। এই অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি নিয়ে 𓃲চিন্তিত বাংলাও। বাংলাদেশে আটকে এপার বাংলার বহু বাসিন্দা থেকে পড়ুয়া।
এদিকে আজ, শনিবার নবান্নের পক্ষ থেকে নয়াদিল্লিতে রেসিডেন্সিয়াল কমিশনারকে ফ🌸োন করা হয়েছে। বাংলাদেশের উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে বাংলার কেউ আটকে রয়েছেন কিনা, যদি থাকে তাহলে কী অবস্থায় রয়েছেন—এই বিষয়গুলি নিয়ে বিস্তারিত খবর নিতে বলা হয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের সঙ্গে তা নিয়ে যাবতীয় সমন্বয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে রেসিডেন্সিয়াল কমিশনারকে। যে কোনও প্রয়োজনে সাহায্যের হাত বাড়াতে প্রস্তুত নবান্ন বলে জানিয়ে দিয়েছে। বাংলাদেশ থেকে ৩০০ বেশি ভারতীয় পড়ুয়া শুক্রবার ফিরে এসেছেন ভারতে। কোচবিহারের ভারত–বাংলাদেশ সীমান্তের মেখলিগঞ্জ দিয়ে বাংলাদেশের রংপুর মেডিক্যাল কলেজের ৩৩ জন ছাত্রছাত্রী ভারতে এসেছেন। তাঁদের মধ্যে ছ’জন ভারতীয়। ১৮ জন ভুটানের এবং নেপালের ৯ জন ছাত্রছাত্রী আছেন।
আরও পড়ুন: একܫুশে জুলাইয়ের পোস্টারে অভিষেকের ছবি 🐎নেই! খোঁচা দিলেন শমীক, পাল্টা জবাব জয়প্রকাশের
অন্যদিকে বাংলাদেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলি বন্ধ হয়ে গিয়েছে। ট্রেন পরিষেবা বন্ধ আছে। মৈত্রী এবং বন্ধন এক্সপ্রেসও বন্ধ আছে। টেলিভিশন চ্যানেল থেকে শুরু করে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এখানে ফিরে আসা পড়ুয়ারা বলেছেন, তাঁরা অপেক্ষা করছিলেন এবং দেখছিলেন। কিন্তু বৃহস্পতিবার ইন্টারনেট পরিষেবা প্রায় সম্পূর্ণ বন্ধ হওয়ার পরে এবং টেলিফোন পরিষেবাগুলিও মারাত্মকভাবে প্রভাবিত হওয়ায় আর ঝুঁকি নেননি। তখন দেশে ফেরার সিদ্ধান্ত নেন। এই বিষয়ে দ্বিতীয় বর্ষের ডাক্তারি পড়ুয়া আমির বলেন, ‘গত কয়েকদিন ধ🦩রে পরিস্থিতি খুব অবনতি হচ্ছিল। ইন্টারনেট কাজ করছে না। মোবাইল পরিষেবা বন্ধ। চোখের সামনে পর পর মানুষকে মরতে দেখে আ💃র ঝুঁকি নিতে পারিনি।’