বাঁশদ্রোণীতে উঠতি মডেলের মৃত্যু ঘিরে রহস্য আরও ঘণীভূত হচ্ছে। পূজা সরকারের মৃত্যুর নেপথ্যে থাকা আসাল কারণ খুঁজে বের করতে ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। প্রাথমিক ভাবে অবশ্য তদন্তকারীদের ধারণা, সম্পর্কের টানাপোড়েনের জেরে আত্মহত্যা করেছেন। পুলিশ জানতে পেরেছে, পূজার সঙ্গে একটি যুবকের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। জানা গিয়েছে, ঘটনার রাতে একটি হোটেলে খেয়ে ফ্ল্যাটে ফেরেন পূজা। এরপর ঘরে বসে ফোনে প্রেমিকের সঙ্গে কথা বলছিলেন তিনি। আচমকাই উত্তেজিত হয়ে পড়েছিলেন পূজা। এরপরই নাকি তিনি ঘরের দরজা বন্ধ করে দেন। এই আবহে তরুণীর সঙ্গীরা ফ্ল্যাট 𒁃মালিককে ফোন করেন। পরে ফ্ল্যাট মালিক পুলিশকে ঘটনার কথা জানালে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বাঁশদ্রোণী থানার পুলিশ। উদ্ধার করা হয় পজার ঝুলন্ত দেহ।
পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে পেরেছে বন্ধুর সঙ্গে অনেক সময়ই ঝামেলা হত পূজার। জানা গিয়েছে, ফ্ল্যাটে ১৯ বছর বয়সি পূজা ছাড়াও আরও এক তরুণী থাকতেন এবং সঙ্গে থাকতেন দুই তরুণ। সাধারণত পূজা অনেক দেরি করে বাড়ি ফিরতেন বলে জানা গিয়েছে। গোবরডাঙা হꦰিন্দু কলেজে পড়তেন পূজা। পাশাপাশি মডেলিং করতেন তিনি।
এদিকে বাড়ির মালিক দাবি করছেন যে পূজা আরও এক তরুণের সঙ্গে ফ্ল্যাটটি ভাড়া নেন। যদিও প্রতিবেশীদের দাবি, ফ্ল্যাটে মোট চারজন থাকতেন। এই বিষয়টিও খতিয়ে𒅌 দেখছে পুলিশ। এদিকে ঘটনার সময় ফ্ল্যাটে পূজার সঙ্গীরা ছিলেন। তবে তাঁদের দাবি, প্রাথমিক ভাবে তাঁরা কিছুই বুঝতে পারেননি। কীভাবে সঙ্গীরা কিছু টের পেলেন না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। পূজা মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন কিনা, তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।