তৃতীয় ঢেউ আসতে পারে। এই আশঙ্কায় দুর্গাপুজোয় থাকছে করোনা–কাঁটা। তাই মানতে হবে বিস্তর বিধিনিষেধ। করোনাভাইরাসের জেরে লকডাউন এবং তার জেরে মানুষের হাতে টাকা নেই বলেই শোনা যাচ্ছে। আবার বাজারে তেমন ভিড় হচ্ছে না। ব্যবসায়ীরাও চিন্তিত। ক্রেতা না থাকলে বিক্রি হবে না। আর বিক্রি না হলে অর্থের টানাটানি দে𒀰খা দেবে। তবে তার মধ্যেই কলকাতায় এবার ৩০০ কোটির পুজো হচ্ছে বলে খবর। এখন তা নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। এই বিগ বাজেটের পুজোর আয়োজন করেছে বড়িশা সর্বজনীন।
ইতিমধ্যেই জানা গিয়েছে, কলকাতার বড় পুজোগুলি এবারও কোনওরকমে পুজো সারবেন। সেখানে এই বিগ বাজেটের পুজো কিভাবে সম্ভব? 🐻এখানের পুজো কমিটির সদস্য তন্ময় চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘পুজোর বাজেট সত্যিই ৩০০ কোটি। তবে নগদ ৩০০ কোটি নয়, এই বাজেট হচ্ছে মূল্যায়নে।’ সেটা আবার কিরকম ব্যাপার? তন্ময় বলেন, ‘আজ থেকে আনুমানিক ৪১৫ বছর আগে বাংলায় সবচেয়ে বৃহত্তম বাজেটের দুর্গাপুজো হয়েছিল রাজশাহীতে। সালটা ১৬০৬। তখন বাংলায় মুঘল শাসন। গবেষক সম্রাট চট্টোপাধ্যায়ের লেখা অনুযায়ী, তখন বেশ কিছু জায়গায় মন্দির ধ্বংস এবং লুঠ হয়েছিল দেবোত্তর সম্পত্তি। তখন রাজশাহীর রাজা কংস নারায়ণ নজিরবিহীন এক বর্ণাঢ্য শারদীয়া পুজোর আয়োজন করেন। জানা যায়, সেই পুজোর বাজেট ছিল তৎকালীন মূল্য অনুযায়ী প্রায় ৯ লাখ টাকা! যা আজকের দিনে মূল্যায়ন করলে দাঁড়ায় ৩০০ কোটি টাকা। রাজশাহীর সেই পুজোর অনুকরণেই এবার বেহালার বড়িশা সর্বজনীন ক্লাবের থিম ভাবনা। ৪১৫ বছর আগের ৯ লাখ টাকার পুজোর ভ্যালুয়েশন ২০২১ সালে দাঁড়াচ্ছে ৩০০ কোটি টাকা! আর তাই আমাদের ক্যাচলাইন এটা।’
সেপ্টেম্বর ম💖াস পড়ে গিয়েছে। অক্টোবর মাসেই পুজো। তাই জোর প্রস্তুতি চলছে। রাজশাহীর সেই পুজো ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করা হচ্ছে বড়িশা সর্বজনীন দ্বাদশ স্কুলের মাঠে। যার চারিদিকে থাকছে অবিভক্ত বাংলার আমেজ। দায়িত্বে আছেন শিল্পী কৃশানু পাল। গবেষক সম্রাট চট্টোপাধ্যায়ের লেখার উপর ভিত্তি করে কৃশানু পাল তৈরি করেছে এবারের থিম। থিমের নাম ৩০০ কোটির পুজো হলেও বড়িশা সর্বজনীনের পুজোর বাজেট আকাশছোঁয়া নয়। বরং ১০ লাখে নামিয়ে আনা হয়ে🌸ছে বাজেট। কিন্তু কলকাতা শহরের বিভিন্ন জায়গায় পড়েছে ৩০০ কোটির পুজোর হোর্ডিং। যা দেখে চমক উঠছেন অনেকেই।