বেলডাঙার ঘটনায় রাজ্য সরকারের রিপোর্ট তলব করল কলকাতা হাইকোর্ট। বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন ও বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছে যে বেলডাঙার সংঘর্ষ নিয়ে উচ্চ পদমর্যাদার অফিসারের মাধ্যমে আজকের মধ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে রিপোর্ট জমা দিতে হবে। বেলডাঙা-সহ মুর্শিদাবাদের মানুষের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে কী কী পদক্ষেপ করꦑা হয়েছে, সেটাও জানানোর নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্টের বিচারপতি ট্যান্ডন ও বিচারপতি ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ। সেইসঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা রুখতে কী কী ব্যবস্থা নিয়েছে রাজ্য সরকার এবং কাদের কাদের পাকড়াও করা হয়েছে, সেটাও রিপোর্টে উল্লেখ করতে হবে। সেই রিপোর্ট পেশের পরেই হাইকোর্ট বিবেচনা করে দেখবে যে বেলডাঙায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হবে কিনা।
আর হাইকোর্ট সেই নির্দেশ দিয়েছে দুটি পৃথক জনস্বার্থ মামলার প্রেক্ষিতে। মামলাকারীরা আর্জি জানান, গত শনিবার বেলডাঙায় দুটি গোষ্ঠীর মধ্যে ♎যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে✱ছে, তা নিয়ে রাজ্যের রিপোর্ট তলব করা হোক। সেইসঙ্গে বেলডাঙা-সহ পুরো মুর্শিদাবাদে মোতায়েন করা হোক কেন্দ্রীয় বাহিনী। তাঁরা দাবি করেন, এলাকার কয়েকজন বাসিন্দা অভিযোগ করেছেন যে ঘটনার পর থেকে আতঙ্কে তাঁরা নিজেদের বাড়িতে থাকতে পারছেন না।
প্রচুর পুলিশ মোতায়েন, দাবি রাজ্যের
যদিও রাজ্যের তরফে অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত দাবি করেন যে সংঘর্ষের ঘটনার পরে এলাকায় প্রচুর পরিমাণে পুলিশ মোতায়েন করা☂ হয়েছে। তারপর থেকে নতুন করে ক൲োনও সংঘর্ষের খবর মেলেনি। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের রিপোর্টের ভিত্তিতে হাইকোর্ট জানিয়েছে, যে যে এলাকায় গন্ডগোল হয়েছিল, সেখানে প্রচুর পুলিশ এবং র্যাফ মোতায়েন করা হয়েছে মনে হচ্ছে। কয়েকজনকে পাকড়াও করা হয়েছে।
আরও পড়ুন:
'কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করতে তৈরি'
তবে মামলাকারীদের দাবি, পুলিশ ঠিকমতো পদক্ষেপ করেনি। আসল দোষীদের ধরা হয়নি। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল অশোককুমার চক্রবর্তী সওয়াল করেন, যদি হাইকোর্ট নি⛦র্দেশ দেয়, তাহলে তাঁরা কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করতে তৈরি আছেন।
আরও পড়ুন:
‘নাগরিকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করা রাজ্য প্রশাসনের প্রাথমিক দায়িত্ব’
আপাতত অবশ্য সেরকম কোনও নির্দেশ দেয়নি হাইকোর্ট। বিচারপতি ট্যান্ডন ও বিচারপতি ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, নাগরিকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করা রাজ্য প্রশাসনের প্রাথমিক দায়িত্ব। আর সেটার ক্ষেত্রে কোনওরকম পক্ষপাতিত্ব বা বৈষম্য থাকা যায় না। স্থানীয় মানুষের মনে যাতে কোনওরকম ভয় কাজ না করে, তা নিশ্চিত করার দায়িত্ব ব🌳র্তায় পুলিশ প্রশা🌱সনের উপরে।
আরও পড়ুন:
হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছে, যাঁদের খোঁজ মিলছে না বা যাঁরা ভয়ে বাড়ি ছেড়ে চলে গিয়েছেন বলে অভিযোগ করা হচ্ছে, তাঁদের যাতে পর্যাপ্ত সুরক্ষা দিয়ে ফিরিয়ে আনা হয়, তা নিশ্চিত করতে হবে পুলিশকে। সেইসঙ্গে পুল𝄹িশকে পর্যাপ্ত পদক্ষেপ করতে হবে, যাতে ভবিষ্যতে কখনও এরকম ঘটনা না ঘটে। যে ঘটনা সংবিধানের মূল ভিত্তির পরিপন্থী হবে। বিশেষত ভারতীয় সংবিধানের প্রস্তাবনায় যে ধর্মনিরপেক্ষতার কথা বলা আছে, সেটার পরিপন্থী হবে বলে জানিয়েছে হাইকোর্টের বিচারপতি ট্যান্ডন ও বিচারপতি ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ।