আগামী তিন মাসের মধ্যে পরিচারিকাদের জন্য ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। ১৯৪৮ সালের ন্যূনতম মজুরি আইনের অধীনে পরিচারিকাদের অন্তর্ভুক্ত করা হবে। এরপরই তাদের ন্যূনতম মজুরিও নির্ধারণ করা হবে। গত ২২ নভেম্বর শ্রম বিভাগের গেজেট বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আগামী তিন মাসের ꦑমধ্যে পরিচারিকাদের ন্যূনতম বেতন নির্ধারণ করা হবে। উল্লেখ্য, ন্যূনতম মজুরি আইনটি ‘অদক্ষ’ এবং ‘দক্ষ’ শ্রমিকদের ৯২টি গোষ্ঠীর মজুরি নির্ধারণ করে থাকে। এরপর থেকে পরিচারিকাদের এই আইনে অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
প্রসঙ্গত, দিল্লি, কেরল এবং তামিলনাড়ুসহ দেশের বেশ কয়েকটি রাজ্যে ইতিমধ্যে পরিচারিকাদের কাজের প্রকৃতি অনুসারে প্রতি ঘণ্টার ভিত্তিতে ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণ করা হয়েছে। এই পথেই এবার হাঁটতে চলেছে পশ্চিমবঙ্গ। বাংলায় বর্তমানে যদি এজেন্সির মাধ্যমে নিয়োগ করাꦐ হয়, তাহলে ১০ ঘণ্টার কাজের জন্য পরিচারিকাদের মজুরি দৈনিক ৩২৫ থেকে ৩৫০ টাকা (প্রতি মাসে প্রায় ৯৭৫০ থেকে ১০,৫০০ টাকা)। তবে রাঁধুনির মতো দক্ষ কর্মীদের রেট একটু বেশি। কিন্তু রাজ্যের বেশিরভাগ পরিচারিকাই প্রতি মাসে ৮০০ থেকে ১০০০ টাকা মজুরির বিনিময়ে কাজ করেন। এমনকি কোনও সাপ্তাহিক ছুটি ছাড়াই তাঁরা কাজ করেন।
রাজ্যে পরিচারিকাদের একমাত্র স্বীকৃত ট্রেড ইউনিয়ন হল ‘পশ্চিমবঙ্গ গৃহ পরিচারিকা সমিতি’। ইউনিয়নের কার্যকরী সভাপতি ইন্দ্রজিৎ বসুর দাবি, রাজ্যে পরিচারিকাদের ন্যূনতম মজুরি প্রতি ঘণ্টায় ৭৫ টাকা হওয়া উচিত। তাছাড়া প্রতি মাসে চার দিন করে ছুটিও দেওয়া উচিত। এদিকে গত ৬ জুলাই সরকার নির্দেশ দেয় যে ‘অদক্ষ’ (ঘর মোছা, ঝাড়ু দেওয়া) পরিচারিকাদের শহরে দৈনি𓄧ক ন্যূনতম ৩৫৫ টাকা অথবা মাসিক ৯২৩৯ টাকা এবং গ্রামীণ এলাকায় দৈনিক ন্যূনতম ৩২২ টাকা অথবা মাসিক ৮🤡৩৮০ টাকা করে বেতন দিনে হবে। তবে এই বিজ্ঞপ্তি অফিসের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। গৃহস্থে কাজ করা পরিচারিকাদের জন্য এখনও বেতন নির্ধারণের কাজ বাকি।
শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটকের বক্তব্য, রাজ্যে বহু ধরনের পরিচারিকা রয়েছেন। কেউ কেউ কয়েক ঘণ্টা কাজ করে চলে যান, আবার কেউ কেউ সারাদিন থাকেন। স্বভাবতই এদের বেতন আলাদা। তাই পরিচারিকাদের বেতন নির্ধারণের কাজটি বেশ জটিল বলে মেনে নেন তিনি। তিনি দাবি করেন, সরকারের লক্ষ্য, কেউ যাতে বঞ্চিত না হয়। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, রাজ্যে ৩০ লক্ষ জন পরিচারিকার কাজ করেন।🥀 শুধুমাত্র কলকাতাতেই এই🌌 সংখ্যাটা আড়াই লাখ। নয়া বেতন নীতি কার্যকর হলে এরা সবাই উপকৃত হবেন বলে আশা সরকারের।