পঞ্চায়েত নির্বাচন পরবর্তী হিংসা কবলিত ভাঙড়ের মানুষের হয়ে সরব হওয়া নিয়ে শুভেন্দু - নওসাদের বিতণ্ডার মধ্যেই এব্যাপারে মুখ খুললেন দিলীপ ঘোষ। রবিবার সকালে তিনি বলেন, পশ্চিমবাংলাকে বিরোধীশূন্য করার রাজনীতির নিদর্শন হচ্ছে ভাঙড়।এদিন দিলীপবাবুকে বলতে শোনা যায়, ‘ভাঙড়ে সারা বছরই সন্ত্রাস চলে। সেটাকে বাড়ানো হয়েছে। বাইরে থেকে নেতাদের পাঠিয়ে, বোম - বন্দুক – গুন্ডা পাঠিয়ে ওখানে হিংসা চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে। যেহেতু ওখানে একজন বিরোধী দলের বিধায়ক ওখানে জিতেছে তাই ওখানকার সাধারণ মানুষের জীবন অতিষ্ঠ করে দেওয়া হচ্ছে। যারা জিতেছে তাদের কোনও কাজ করতে দেওয়া হচ্ছে না। পশ্চিমবাংলাকে বিরোধীশূন্য করার রাজনীতির নিদর্শন হচ্ছে ভাঙড়’।নাম না করলেও দিলীপ ঘোষের কথায় স্পষ্ট তাঁর ইঙ্গিত সওকত মোল্লার দিকে। ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক সওকত মোল্লা তৃণমূলের তরফে ভাঙড় বিধানসভার দায়িত্বে রয়েছেন। অভিযোগ, ক্যানিং থেকে দুষ্কৃতীদের এনে ভাঙড়ে অশান্তি ছড়াচ্ছেন সওকত। পঞ্চায়েতে মনোনয়নের শেষ দিন ভাঙড়ে বিডিও অফিসের সামনে যে সারি সারি গাড়ি পুড়েছিল তা এসেছিল ক্যানিং থেকেই। স্থানীয়দের দাবি, ওই গাড়িগুলি করে ক্যানিং থেকে পোষা গুন্ডা নিয়ে এসেছিলেন সওকত। যারা সেদিন ভাঙড়কে কার্যত যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত করে।তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের আশীর্বাদে ভাঙড়ে বর্তমানে সওকতের দাপট এতটাই যে লোকাল গুন্ডা আরাবুল ইসলাম সেখানে হালে পানি পাচ্ছেন না। এমনকী মনের দুঃখে দিন কয়েক আগে রাজনীতি থেকে দূরে সরে যাওয়ারও ইচ্ছাপ্রকাশ করেন তিনি।২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে ভাঙড় থেকে জয়ী হয়েছেন ISF প্রার্থী নওসাদ সিদ্দিকি। তার পর থেকে লাগাতার অশান্তি লেগেই রয়েছে ভাঙড়ে।বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে কলকাতা লাগোয়া ভাঙড়ে একাধিক শিল্প সম্ভাবনা রয়েছে। রাজ্যে বিনিয়োগের খরা কাটলেই ভাঙড়ে জমির দাম আকাশ ছুঁতে পারে। তাই সেখানে এত মারামারি - রক্তারক্তি - প্রাণহানি।