কল্যাণী এইমস নিয়োগ দু্র্নীতিতে বিজেপি বিধায়কদের নাম আগেই জড়িয়েছে। এবার আরও এক 🔥বিজেপি বিধায়কের নাম জড়িয়ে পড়ায় তাঁকে সিআইডি তলব করেছিল। পঞ্চায়েত নির্বাচনের দোহাই দিয়ে এড়িয়ে গিয়েছিলেন বিজেপি বিধায়ক। আর পঞ্চায়েত নির্বাচন মিটতেই আজ, শুক্রবার ভবানীভবনে সিআইডি দফতরে হাজির হলেন চাকদার বিজেপি বিধায়ক বঙ্কিমচন্দ্র ঘোষ। কল্যাণীর এইমস হাসপাতালে নিয়োগ দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছ🐽ে তাঁর বিরুদ্ধে। তাই আজ তিনি ভবানীভবনে হাজির হতেই জোরদার জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।
এদিকে এই তদন্ত সিআইডি করছে তার কারণ এক চাকরিপ্রার্থী কল্যাণী থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। সেই অভিযোগেই উঠে আসে কল্যাণী এইমস হাসপাতালের নিয়োগ দুর্নীতিতে জড়িত চাকদার বিজেপি বিধায়ক বঙ্কিমচন্দ্র ঘোষ–সহ ৮ জনের নাম। জনৈক ওই চাকরিপ্রার্থীর অভিয🌃োগ, যোগ্যতা ছিল না। তা সত্ত্বেও প্রভাব খাটিয়ে কল্যাণী এইমস হাসপাতালে চাকর🅰ি পেয়েছেন বিধায়কের পুত্রবধূ অনুসূয়া ঘোষ। এই অভিযোগে রাজ্য পুলিশের কাছ থেকে তদন্তভার নেয় সিআইডি। কল্যাণী এইমস নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে এই বিজেপি বিধায়কের নাম জড়িয়েছে। সিআইডির আতসকাচের তলায় রয়েছেন চাকদার বিজেপি বিধায়ক বঙ্কিম ঘোষ।
অন্যদিকে ২০২২ সালের ১৫ ডিসেম্বর ꦍনদিয়ার চাকদা বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়ক বঙ্কিম ঘোষের হরিণঘাটার 🌊বাড়িতে হানা দেয় সিআইডি টিম। তবে তখন বিজেপি বিধায়ক বাড়িতে ছিলেন না। বিজেপি বিধায়কের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন তদন্তকারীরা। বঙ্কিমবাবুর পুত্রবধূকে আগেই জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল। তার বয়ানে কিছু অসঙ্গতি মেলে। তাই ডেকে পাঠানো হয় বঙ্কিমবাবুকে। দু’বার তিনি সিআইডি তলবে হাজির হননি। এবার সকাল ১১টা নাগাদ সিআইডি দফতরে হাজির হন বিজেপি বিধায়ক। এবার চলছে জিজ্ঞাসাবাদ। অভিযোগ, কল্যাণী এইমস হাসপাতালে বিধায়ক বঙ্কিম ঘোষের পুত্রবধূকে বেআইনিভাবে নিয়োগ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ‘কিছু ꧅পুলিশ অকর্মণ্য, অপদার্থ’, পঞ্চায়েত নি🧸র্বাচনে হিংসা নিয়ে দুষলেন তাপস রায়
আর কী জানা যাচ্ছে? কল্যাণী এইমস হাসপাতালে বেআইনি নিয়োগের অভিযোগ সামনে আসতেই আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। কারণ এই নিয়োগ দুর্নীতিতে নাম জড়িয়েছে বাঁকুড়ার বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকারের। তার সঙ্গে নাম জড়িয়ে যায় রানাঘাটের সাংসদ জগন্নাথ সরকার, বাঁকুড়ার বিজেপি বিধায়ক নীলাদ্রিশে🍸খর দানা এবং চাকদার বিধায়ক বঙ্কিম ঘোষের। সুতরাং বিজেপি নেতারা শাসকদলের বিরুদ্ধে সুর চড়ালেও তাঁরা একই দুর্নীতি জড়িত বলে খবর প্রকাশ্যে আসছে। যদিও শুরু থেকেই এই ঘটনাকে ভিত্তিহীন বলে দাবি ক꧙রে আসছে বিজেপি।