বিধাননগরে বেআইনি নির্মাণের অভিযোগ। আর তা নিয়ে এবার বিস্ফোরক ಞমন্তব্য করলেন বিধাননগর পুরনিগমের চেয়ারম্যান সব্যসাচী দত্ত। সরাসরি মেয়রের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিলেন চেয়ারম্যান। সব্যসাচীর দাবি, বিধাননগরে যে অবৈধ নির্মাণ চলছে সেটার দায়ভার তিনজনের। এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার বিল্ডিং প্ল্যান, কমিশনার এবং মেয়রের। হকার ইস্যুতে কড়া অবস্থান নিয়েছেন ম🃏ুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যজুড়ে চলছে উচ্ছেদ অভিযান। বাদ যায়নি সল্টলেকও। সল্টলেক সেক্টর ফাইভে অভিযানে নামে পুলিশ। আর সরিয়ে দেওয়া হয় রাস্তার উপরে থাকা দোকান,ব্যবসার সামগ্রীও। তা নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।
এদিকে রাজ্যজুড়ে যখন উচ্ছেদ অভিযান তুঙ্গে তখন নিজের দলের মেয়রকে এভাবে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে দেওয়ায় বিতর্ক তুঙ্গে উঠেছে। গোটা বিষয়টি নিয়ে সব্যসাচী দত্ত বলেন, ‘এখন তো বেআইনি নির্মাণটাই নির্মাণ। ২০১৫ থেকে ২০১৯ পর্যন্ত আমি মেয়র ছিলাম। তখন হকার ও হোর্ডিংয়ের ভিডিয়োগ্রাফি করেছি। আজও বেআইনি নির্মাণ হচ্ছে। বিধাননগর পুরনিগমে যে নির্মাণ হচ্ছে আইনত কম, বেআইনি বেশি। তার দায় এক্সিকিউটিভ ইঞ্জ🐬িনিয়ার বিল্ডিং প্ল্যান, তলার অফিসার, কমিশনার এবং মাননীয়া মেয়রের।’ এই মন্তব্যের পর বেজায় অস্বস্তি তৈরি হয়েছে মেয়র কৃষ্ণা চক্রবর্তীর। আর বিতর্কও তৈরি🥀 হয়েছে।
আরও পড়ুন: হঠাৎ মারাত্মক অসুস্থ হয়ে পড়লেন তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক, ভর্ত🍒ি করতে হল হাসপাতালে
অন্যদিকে ২০১৫ সালে বিধাননগর পুরনিগম হয়। ২০১৫ সালেই এই পুরনিগমের মেয়র পদে বসেন সব্যসাচী দত্ত। ২০১৯ সালের জুলাই পর্যন্ত এই পদে ছিলেন তিনি। তারপর বিজেপিতে যান। আবার একুশের নির্বাচনেরও ফলাফলের পর ফিরে আসেন তৃণমূল কংগ্রেসে। এবার তাঁর বক্তব্য, ‘আমি দায়িত্ব নিয়ে বলতে পারি তখন বেআইনি নির্মাণ নিয়ে জিরো টলারেন্স অবস্থানে ছিলাম। কোথাও বেআইনি নির্মাণ হচ্ছে শুনলে আমি সময় নিতাম না। আইন মেনে ডেমোলিশ করে দিতাম। ওই চার বছরে একটা কেসেও আমাকে ভর্ৎসনা শুনতে হয়নি। আমি মানে মেয়রকে ভর্ৎসনা শুনতে হয়নি। এখন তো রোজ আদালতে গেলে ঝাড় খেতে হয়। নতুন গাল, চড় খেতে খেতে তো লাল হয়ে🦹 গেল।’
এছাড়া আরও বেশ কিছু কড়া আক🤡্রমণ শাণিয়েছেন সব্যসাচী। তবে তিনি কারও নাম নেননি। বরং তাঁর কথায়, ‘এখন তো রোজ আদালত ঘাড়ধাক্কা দিচ্ছে। দু’টো গাল চড় খেতে খেতে তো লাল হয়ে গেল। মহামান্য আদ🌃ালতে যে আমি কেস করেছি, তাতে রাজ্য সরকার, আমার কাছে রেকর্ড আছে। হলফনামা দিয়ে রাজ্য সরকার আদালতে জানিয়েছে, ২ ওয়ার্ডে ৩৩৩টি বেআইনি।’ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নবান্ন থেকে বলেছিলেন, ‘সল্টলেক এখন দেখতে লজ্জা করে। বাইরে থেকে লোকজন এসে বসে পড়েছে। এতে আইডেন্টিটি বাংলার নষ্ট হচ্ছে।’