সিঙুরে টাটাকে তাড়ানোর জন্য যদি মুখ্যমন্ত্রী বিন্দুমাত্র অনুতপ্ত হন তবে রায় পুনর্বিবেচনার দাবি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হওয়া উচিত তাঁর সরকারের। হিন্দুস্তান🍸 টাইমসকে দেওয়া প্রতিক্রিয়ায় এমনই জানালেন প্রবীণ আইনজীবী তথা রাজ্যসভার সাংসদ বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। এদিন তিনি বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আইন না জেনে আইন নিয়ে কথা বলছেন। যা গর্হিত অপরাধ।
এদিন বিকাশবাবু বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেরকম আবোল তাবোল মিথ্যে বলে থাকেন সেরকমই বলেছেন। আইন সম্পর্কে না জেনে আইন নিয়ে মন্তব্য করা ঘোরতর অপরাধ। সুপ্রিম কোর্ট সিঙুরে জমি অধিগ্রহণে পদ্ধতিগত ত্রুটি রয়েছে বলে রায় দিয়েছিল। সেই ত্রুটি সংশোধন করে সরকার জমি অধিগ্রহণ করতেই পারত। তাতে চাষিদের ক্ষতিপূরণের অংক কিছুটা বদলা🎀তে পারত। কিন্তু এই রাজ্য সরকার সেই আবেদন করেনি। তারা আদালতে সরাসরি জানিয়ে দিয়েছে, টাটাদের আমরা চাই না। তাই আদালত জম💃ি ফেরতের নির্দেশ দিয়েছে। এই নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী ভুলভাল বলে বেড়াচ্ছেন’।
শহরে অবৈধ টেলিযোগাযোগ ব্যবসা, গ্রেফতার ২, উদ্ধার সিম বক্স
তিনি আরও বলেন, ‘সিঙুরের চাষিদের বিপথে চালিত করে নিজে মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে বসেছেন মমতা। ওখানকার জমিতে আর চাষ হয় না। চাষিরা শিল্পের জন্য জমি দিতে চান। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী ও এই সরকারের শিল্প নিয়ে যা অবস্থান তাতে কোনও শিল্পপতি আর আꦫসবেন বলে মনে হয় না।’
তিনি বলেন, ‘সরকার চাইলেই সিঙুরে ফের শিল্প হতে পারে। সিঙুর নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের রায় পুনর্বিবেচনার জন্য আদালতে যেতে পারে রাজ্য সরকার। এই রায় পুনর্বিবেচনার জন্য আদা⭕লতের ১৫ মিনিটের বেশি লাগবে না। আদালতের দেখাꦚনো পথে ফের জমি অধিগ্রহণ করতে পারে রাজ্য। তাতে কোথাও কোনও বাধা নেই’।
বুধবার শিলিগুড়িতে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আরে 🦹টাটাকে আমি তাড়াইনি। টাটাকে তাড়িয়েছে সিপিএম।’ বৃহস্পতিবার কলকাতায় মমতাকে বলতে শোনা যায়, ‘আমাদের ওই আন্দোলনই সারা ভারতের আইন হিসাবে অ্য়াকসেপ্টেড হ🌼য়েছে। ’ মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্য বিভ্রান্তিকর বলে দাবি করেন বিকাশবাবু।