পৃথিবীর কিছু অমর সম্পর্কের মতো তাদের সম্পর্কও নাম খুঁজে পায়নি। কর্মীরা বলেন জোট, নেতারা বলেন বোঝাপড়া। সেই কংগ্রেসের বিধায়ক বাইরন বিশ্বাসের দলবদলে সমালোচনার মুখে পড়তে হচ্ছে বামেদেরও। তবে কি বাইরনের বেইমানিতে কংগ্রেসের হাত ছাড়ছে বামেরা? 💦সোমবার সন্ধ্যায় এই প্রশ্নের সোজা সাপটা জবাব দিলেন বামফ্রন্ট সভাপতি বিমান বসু।
এদিন বিমানবাবু বলেন, ‘যা হল তা গণতন্ত্রের পক🌺্ষে ভালো নয়। ওকে তো বিধানসভায় খুব বেশি দেখা যায়নি। শপথ নিয়েছেন অনেক দিন পর’। এর পরই এক সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, তবে কি বাম – কংগ্রেসের সম্পর্কে এই ঘটনার প্রভাব পড়বে। জবাবে বিমানবাবু বলেন, একটা দুর্ঘটনা ঘটতেই পারে তাই বলে দীর্ঘমেয়াদী বোঝাপড়া প্রভাবিত হবে কেন?
সাগরদিঘিতে বাইরনের জয়ে বামেদের অবদান স্বীকার করেছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী। যে ভাবে বাম ও কংগ্রেস কর্মীরা একসঙ্গে থেকে গোটা প্রচারপর্ব সামলেছিলেন তাকে বাহবা দিয়েছিলেন তিনি। তার পর থেকেই রাজ্যে তৃণমূলের বিকল্প হিসাবে উঠে এসেছিল ‘সাগরদিঘি মডেল’। সোমবার দুপুরে ঘাটালে তৃণমূলের নব জোয়ারে অভিষেকের হাত ধরে বাইরনের তৃণমূলে যোগদানে সেই মডেল ধাক্কা খেল বলে মনে করছেন অনেকে। তবে জোটপন্থী আরেক শিবিরের দাবি, বিধায়ক দল বদল করলেও ভোটারদের মন ফিরে পাবে না তৃণমূল। একজন বাইরনকে দলবদল 💝করালেও আগামীতে এই সমীকরণেও বদলাবে বাংলার রাজনীতির চিত্র।