কয়েকদিন আগেই ইনফোসিস প্রতিষ্ঠাতা নারায়ণ মূর্তি দাবি করেছিলেন, সপ্তাহে ৭০ ঘণ্টা কাজ করা উচিত যুব সমাজের। এর জেরে বিশাল বিতর্ক হয়েছিল। আর এবার সপ্তাহে ৮৪ ঘণ্টা কাজ করার বার্তা দিলেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত এক মার্কিন এআই স্টার্টআপ কর্তা। আর সপ্তাহে ৮৪ ঘণ্টা কাজ করতে বলে নাকি সেই ভারতী বংশোদ্ভূত টেক কর্তা এখন প্রাণনাশের হুমকি পাচ্ছেন। রিপোর্ট অনুযায়ী, সান ফ্রান্সিস্কো ভিত্তিক এক এআই সংস্থার সিইও দক্ষ গুপ্তা সোশ্যাল মিডিয়ায় দাবি করেছিলেন, তাঁর সংস্থায় সাপ্তাহিক ৮৪ ঘণ্টা কাজ করতে হয়। আর এর জেরে অনলাইনে বচসায় জড়ান তিনি। এদিকে অনেকে আবার চাকরির আবেদনও করেন দক্ষ গুপ্তার কাছে। (আরও পড়ুন: 'ডিএ বৃদ্ধিতে কোনও সমস💦্যা থাকবে না…', সব বিভাগকে নির্দেশ সরকারি ট্রেজারি দফতরের)
আরও পড়ুন: বহু প্রতিক্ষার পর শেষ পর্🦄যন্ত বাড়ল মহা📖র্ঘ ভাতা, কবে থেকে কার্যকর হবে নয়া ডিএ-র
জানা গিয়েছে, 'গ্রেপ্টাইল' নামক এক সংস্থার সিইও পদে আছেন দক্ষ। তিনি সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্স-এ একটি পোস্টে লেখেন, 'সম্প্রতি আমি গ্রেপ্টাইলের চাকরিপ্রার্থীদের প্রথম ইন্টারভিউতেই বলতে শুরু করেছি, আমাদের সংস্থায় কোনও ওয়ার্ক-লাইফ ব্যালেন্স নেই। সাধারণত আমাদের এখানে কাজ শুরু হয় সকাল ৯টায় এবং তা রাত ১১টা পর্যন্ত চলে। আর আমরা শনিবারও কাজ করি। এমনকী কখনও তো রবিবারও কাজ করতে হয়। প্রথমে এটা করতে গিয়ে আমার মনে হয়েছিল যে আমি ভুল করছি। তবে চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে স্বচ্ছতা বজায় রাখা ভালো বলেই মনে করি আমি। প্রথম থেকেই লোকে জেনে চাকরিতে যোগ দিক, এটাই চাই।' (আরও পড়ুন: 'বেলডাঙায়😼 তো সংঘর্ষ হয়নি...', পুলিশকে প্রশ্নবাণে বিদ্ধ করে বিস্ফো🀅রক শুভেন্দু)
আরও পড়ুন: সরকারি দাম ১০৪.৯৫, তবে ক☂লকাতার অনেক পাম্পেই পেট্রোল বিকোচ্ছে বেশি রেটে! কেন?
সেই এক্স বার্তাটি খুব তাড়াতাড়ি ভাইরাল হয়ে যায়। সেটি ১৬ লাখ ভিউজ পায়। কয়েক হাজার কমেন্ট পড়ে সেখানে। অনেকেই সেই এক꧃্স পোস্টটিকে রিটুইট করেন। অনেকেই গ্রেপ্টাইলের এই কর্মসংস্কৃতিকে টক্সিক আখ্যা দেন। একজন সোশ্যাল মিডিয়া ইউজার প্রশ্ন করেন, 'যদি আপনি বেশি টাকা না দেন, তাহলে কীভাবে আপনি আশা করছেন যে আপনার কর্মীরা দ্বিগুণ কাজ করবে আপনার জন্যেꦏ?' এদিকে অন্য একজন আবার কমেন্ট করেন, 'স্বচ্ছতা বজায় রাখার বিষয়টি ভালোই। তবে আপনার কেন মনে হয় যে এভাবে কাজ করলে আপনার সংস্থার উন্নতি হবে?' এদিকে এই পোস্ট ভাইরাল হওয়ার পরে দক্ষ আরও একটি পোস্ট করেন। তাতে তিনি দাবি করেন, এখন তাঁর ইনবক্সে ২০ শতাংশ বার্তা হল প্রাণনাশের হুমকি, আর ৮০ শতাংশ হল চাকরির আবেদন।