উপনির্বাচনের আগেই আচমকা অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভরতি হয়েছিলেন সিপিএম নেতা তথা বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু। তবে প্রায় ৬ দিন হাসপাতালে থাকার পর অবশেষে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হল। আর হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়ে নিজের বাসস্থানে ফিরলেন তিনি। উল্লেখ্য, বিগত বহু দশক ধরেই আলিমুদ্দিন স্ট্রিটে সিপিএমের রাজ্য দফতরেই থাকেন বিমান বসু। গতকাল হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়ে সেখানেই ফিরেছেন তিনি। জানা গিয়েছে, হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলেও আপাতত বিশ্রামে থাকতে বলা হয়েছে বিমান বসুকে। (আরও পড়ুন: হাসপাতালের নবজাতক বিভাগে আগুন, 𒉰মর্মান্তিক মৃতꦓ্যু ১০ সদ্যজাত শিশুর)
রিপোর্ট অনুযায়ী, গত ১১ নভেম্বর জ্বর নিয়েই দক্ষিণ দিনাজপুর এবং মালদায় দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছিলেন বিমান বসু। সেই কর্মসূচি সেরে তিনি কলকাতায় ফেরেন। পরে সন্ধ্যা নাগাদ তাঁর জ্বর বেড়ে যায়। সেই সময় সিপিএম নেতারা তাঁকে হাসপাতালে ভরতি করেন। যদিও জানা গিয়েছে, প্রাথমিক ভাবে হাসপাতালে যেতে রাজি ছিলেন না বিমান বসু। তিনি চেয়েছিলেন, পার্🥀টি অফিসেই যেন তাঁর চিকিৎসা হয়। তবে পরে সূর্যকান্ত মিশ্র এবং মহম্মদ সেলিমেরা তাঁকে বুঝিয়ে হাসপাতালে নিয়ে যান।
প্রসঙ্গত, বর্তমানে বিমান বসুর বয়স ৮৪ বছর। তবে এর মধ্যেও তিনি শরীরচর্চা করেন বলে জানা গিয়েছে। এছাড়া তাঁর খাওয়াদাওয়াও নিয়ম মেনে হয়। এই বয়সেও কয়েক কিলোমিটার হাঁটতে তাঁর কোনও সমস্যা হয় না। তাঁর কোনও দীর্ঘকালীন অসুস্থতা নেই। এর আগে শেষ কবে বিমান বসুকে হাসপাতালে ভরতি করতে হয়েছিল, তা মনে করতে পারেননি আলিমুদ্দিনের নেতারা। এই কারণে এবারে অনেকে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছিলেন প্রথম দিকে। তবে হাসপাতালে ভরতির পরদিন থেকেই শারীরিক অবস্থা ফিরতে থাকে বিমান বসুর। চিকিৎসকরা অনেক পরীক্ষা করিয়েছিলেন। তবে কোনওটার রেজাল্টই নেতিবাচ꧋ক ছিল না।
উল্লেখ্য, পশ্চিমবঙ্গে বামফ্রন্ট কমিটির চেয়ারম্যান এবং পলিটব্যুরো সদস্য। এর আগে দলের দলের সম্পাদকের পদও সামলেছিলেন তিনি। মাত্র ১৭ বছর বয়সে তিনি দলে যোগ দেন এবং ১৮ বছর বয়সে বাড়ি ছেড়ে দলীয় কার্যালয়ে থাকতে শুরু করেন। ১৯৬৪ সালে বঙ্গীয় প্রাদেশিক ছাত্র ফেডারেশনের কলকাতা জেলার সহ-সভাপতি হয়েছিলেন বিমান বসু। এরপর ১৯৭০ সালে ভারতের ছাত্র ফেডারেশনেಞর প্রথম সর্বভারতীয় সম্পাদক হন তিনি। ১৯৭১ সালে কমিউনিস্ট পার্টি অফ ইন্ডিয়া (মার্কসবাদী)-র পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য💯 কমিটির সদস্য হন এবং ১৯৭৮ সালে সম্পাদকীয় সদস্য হন। ১৯৮৫ সালে সিপিআই(এম)-এর কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৯৮ সালে তিনি দলের পলিটব্যুরোর সদস্য হবেন। বর্তমানে এত বয়সেও দলের কাজ করে চলেছেন বিমান বসু।