এবার খোদ আদালত চত্বরে বিজেপির সাংগঠনিক জেলা সভাপতিকে জুতোপেটা করলেন ওই দলেরই মহিলা কর্মীরা। এই ঘটনায় ব্যাপক আলোড়ন পড়ে ♚গিয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ভিডিয়ো ভাইরাল হ🤪য়ে গিয়েছে (যা যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা ডিজিটাল)। বিজেপির জেলা সভাপতিকে জুতোপেটা করার অভিযোগ উঠেছে। বিজেপির এক মহিলা কর্মী তাঁকে জুতোপেটা করেন বলেও অভিযোগ। নিজের দলের মহিলা কর্মীর হাতে মার খেলেন মথুরাপুর সাংগঠনিক জেলার বিজেপির সভাপতি প্রদ্যুত বৈদ্য। যা এখন দলের অন্দরে চর্চিত হচ্ছে।
এদিকে ওই বিজেপি নেতা মথুরাপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি প্রদ্যুৎ বৈদ্য নিজে মুখে কুলুপ এঁটেছেন। গতকাল, বৃহস্পতিবার কুলপি বিধানসভার পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে একটি মামলার জন্য কলকাতা হাইকোর্টে হাজির হয়েছিলেন প্রদ্যুৎ বৈদ্য। তখন ভরা আদালতেই🦋 তাঁকে জুতো পেটা করতে শুরু করেন বিজেপিরই কয়েকজন মহিলা কর্মী বলে অভিযোগ। তবে কেন তিনি এভাবে নিগৃহীত হলেন? সেটা কিন্তু এখনও কিছু জানা যায়নি। এই ঘটনায় বিজেপির পাল্টা অভিযোগ, এই ঘটনার সঙ্গে বিজেপির কেউ যুক্ত নেই। যাঁরা এসব করেছে, তাঁদের দল থেকে আগেই বহিষ্কার করা হয়েছে।
অন্যদিকে এই জুতোপেটার ঘটনাকে বিজেপির অন্তর্কলহ বলে দাবি করেছেন সুন্দরবন তৃণমূল কংগ্রেসের সংগঠনের যুব সভাপতি বাপি হালদার। তাঁর কথায়, ‘পঞ্চায়েতের প্রধান উপপ্রধান গঠন এবং টাকা লেনদেন নিয়েই প্রকাশ্যে জুতোপেটা করেছে ওই নেতাকে। বিষয়টি নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস চিন্তিত নয়। বিজেপি একটা চোর–চিটিংবাজের দল। লুটে খাওয়ার দল ওরা। নিজেদের মধ্যে ভাগ–বাঁটোয়ারা নিয়ে গণ্ডগোলের জেরেই এমন ঘটꦗনা ঘটেছে।’ বিজেপি অবশ্য বলছে, এটা আসলে দলের জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে 🙈মিথ্যা অভিযোগ তুলে দলকে কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা। এই ঘটনার পিছনে তৃণমূল কংগ্রেসের হাত রয়েছে।
আরও পড়ুন: ‘আমি অসহায়ও’, এজলাসে অসন্তোষ প্রকাশ করলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি
ঠিক কী বলছেন প্রদ্যুৎ বৈদ্য? মথুরাপুর সাংগঠনিক জেলার বিজেপির সভাপতি প্রদ্যুত বৈদ্য দলের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে এই ঘটনার কথা জানিয়েছেন। তিনি সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘আগামী ১০ অগস্টের মধ্যে মথুরাপুর কৃষ্ণচন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন করার কথা আছে। তবে তার আগেই বিজেপির জয়ী প্রার্থীদের নামে কয়েকটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। তাই আগাম জামিন নিতেই কলকাতা হাইকোর্টে এসেছিলাম। যারা এই কাণ্ড ঘটিয়েছে তারা বিজেপির কেউ নয়। দল থেকে অন🌃েক আগেই তাদের বহিষ্কার করা হয়েছে। এটা তৃণমূলের চক্রান্ত।’