তিনি বরাবরই বিতর্কিত মন্তব্য করে থাকেন। ওটাই ওনার অভ্যাস বা স্টাইল। 🎐তাতে কখনও দল অস্বস্তি পড়েছে, আবার কখনও নিজেই অস্বস্তিতে পড়েছেন। এবার টানা তিনদিন সিবিআই নিয়ে বেলাগাম মন্তব্য করেছিলেন তিনি। তাতে সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর অধীনস্থ সংস্থা নিয়ে প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। তাই দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডা তাঁকে কড়া ভাষায় সতর্ক করেছিলেন। হ্যাঁ, তিনি বিজেপির সর্বভারতীয় সহ–সভাপতি দিলীপ ঘোষ। এবার তাঁকে এই কাজের জন্য বিজেপির পক্ষ থেকে ‘সেন্সর’ করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর।
ঠিক কী বলেছিলেন দিলীপ ঘোষ? রাজ্য নেতৃত্বকে সরাসরি চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়ে মেদিনীপুরের সাংসদ দিলীপ ঘোষ বলেছিলেন, ‘হিম্মত থাকলে কলকাতায় বিজে𓃲পিকে জিতিয়ে দেখান।’ তারপরই সিবিআই নিয়ে বেলাগাম মন্তব্য করে বুঝতে পেরেছিলেন কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের রোষানলে পড়তে হবে। তাই তিনি আগাম বলেন, ‘আমি দল বা সরকারকে অস্বস্তিতে ফেলতে কিছু বলিনি। আমি যেমন দলের কাছে দায়বদ্ধ, ততটাই দলের কর্মী–সমর্থকদের কাছেও। গত কয়েক বছরে তৃণমূলের সন্ত্রাসে দলের অনেক কর্মী–সমর্থক মারা গিয়েছেন। তাঁদের পরিবারের মনের কথাই আমার মুখ থেকে বেরিয়েছে।’
কেন দিলীপ ঘোষকে সেন্সর করা হল? গেরুয়া শিবিরের সূত্রে খবর, দিলীপ ঘোষ আগেও বহুবার বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন। তাতে তাঁকে সতর্ক করা হয়েছিল। ভবিষ্যতে এমন কোনও মন্তব্য ক💟রতে পারবেন না বলেও তাঁকে জানানো হয়েছিল। কিন্তু তাঁর মন্তব্যের জন্য💛 দলকে অস্বস্তিতে পড়তে হচ্ছিল ক্রমাগত। এমনকী দিলীপ ঘোষকে প্রকাশ্যে মুখ খুলতে নিষেধဣ করেছিল দল। দলের সেই নির্দেশিকাকে বিশেষ গুরুত্ব দেননি তিনি📖। ফলে তাঁকে সেন্সর করার পথে হাঁটতে হয়।
সিবিআই নিয়ে কী মন্তব্য করেছিলেন? সিবিআই তদন্ত নিয়ে ক্ষুব্ধ দিলীপ ঘোষ। তাই তিনি সংবাদমাধ্যমের সামনে বলেন, ‘গত কয়েক মাস ধরে এখানে সিবিআই তদন্ত চলছে। কিন্তু, ✃কেউ ধরা পড়ছিল না। কোনও এফেক্ট পড়ছিল না। কারণ সর্ষের মধ্যে ভূত। কেউ লক্ষে হয়, কেউ কোটিতে বিক্রি হয়ে যাচ্ছিলেন। বিধানসভা নির্বাচনের পর ৬০ জন বিজেপি কর্মী খুন হয়েছেন। ♛কতজনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে সিবিআই? কতজনকে সাজা দিয়েছে? সিবিআই এফআইআর করতে পারেনি। সিবিআইয়ের কাছ থেকে ন্যায় পাইনি। সবথেকে বিশ্বস্ত এজেন্সি হচ্ছে ইডি। তারা সেটা প্রমাণ করেছে।’