পরপর তিনদিন। তিনটি মাওবাদী পোস্টার। আর দেখা গিয়েছে জঙ্গলমহলে। এক, তৃণমূল কংগ্রেস নেতাদের সঙ্গে খেলা হবে। দুই, পুলিশের গলায় জুতোর মালা পরানো হবে। তিন, সাতদিন পিরাকাটা বাজার বন্ধ রাখার হুঁশিয়ারি দিয়ে পোস্টা🃏র পড়েছে। প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, জঙ্গলমহলে মাওবাদী কার্যকলাপ কী বাড়থে? বুধবার সাংবাদিক বৈঠক করে মাওবাদী আতঙ্ক খারিজ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর দাবি করলেন, পোস্টারের নেপথ্যে রয়েছে বিজেপির হাত।
ঠিক কী বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী? এদিন সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, ‘কোথাও কোথাও একটা–দুটো পোস্টার বিজেপি লাগিয়ে দিচ্ছে। সেটাকে নিয়েই মাওবাদী–মাওবাদী উত্তেজ🍌না ছড়ানো হচ্ছে। সবটাই পরিকল্পনা। পুলিশকে জঙ্গলমহলে আরও সক্রিয় হতে হবে। আমি খুব শীঘ্রই জঙ্গলমহল সফরে যাবো। ঝাড়গ্রামের পুলিশ সুপার এবং জেলাশাসকের সঙ্গে কথা বলেছি।’
একদা মাওবাদ𝓡ীদের মুক্তাঞ্চল ছিল ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া–সহ জঙ্গলমহল। ২০১১ সালে ক্ষমতায় আসার পর এখানে সেই কার্যকলাপ বন্ধ করে দেয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। মাওবাদীদের চাকরি দেওয়া হয়েছে মূলস্রোতে ফেরানোর জন্য। বহু মাওবাদীকে হোমগার্ডের চাকরি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সম্প্রতি নতুন করে মাও🅠বাদী আতঙ্ক দেখা দিয়েছে জঙ্গলমহলের ♒জেলাগুলিতে।
উল্লেখ্য, জঙ্গলমহলে এখন হাই অ্যালার্ট জারি হয়েছে। গোয়েন্দাদেꦡর সতর্কতা অনুযায়ী, আগামী ১৫ দিনের মধ্যে বড় নাশকতা করার ছক কষেছে মাওবাদীরা। আর এখানের সাংসদ বিজেপির। তাই বিজেপি এই কার্যকলাপের নেপথ্যে আছে বলে মনে করা হচ্ছে। বাংলাকে অস্থির করতেই এই পোস্টার ফেলছে বিজেপি বলে মনে করছেন মুখ্যমন্ত্রী।